এই নির্বাচনও ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে: ড. আকবর আলি খান

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আকবর আলি খান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে এটা বাংলাদেশের কোনো বিরোধী দল বিশ্বাস করে না। এবার যে বিরোধী দল আছে তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার ঝুঁকি নিয়েছেন। এই নির্বাচনও ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আকবর আলি খান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে এটা বাংলাদেশের কোনো বিরোধী দল বিশ্বাস করে না। এবার যে বিরোধী দল আছে তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার ঝুঁকি নিয়েছেন। এই নির্বাচনও ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।

ইশতেহারে দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই আছি। বাস্তব অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং সব রাজনৈতিক দলের অতীতের কার্যকলাপ এবং বর্তমান পরিস্থিতি তারই ধারাবাহিকতা এই  নির্বাচনী ইশতেহার। আসলে নির্বাচনী ইশতেহারে যত বিষয় থাকে সব বিষয় নিয়ে ভোটাররাও মাথা ঘামায় না। আর রাজনৈতিক দলগুলো যে সব প্রতিশ্রুতি পালন করবে তারও কোনো নিশ্চয়তা আছে বলে মনে হয় না।

প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই সংসদকে কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে, কিন্তু ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রার পর কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে আমাদের জাতীয় সংসদ? ড. আকবর আলি খানের জবাব, রুটিন কার্যক্রমের কথা ধরলে সংসদ সফল; আইন পাস হয়েছে, অধিবেশন বসেছে, সংসদীয় কমিটি গঠিত হয়েছে- কিন্তু সংসদের যে অন্যান্য দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা রয়েছে সেই ক্ষমতার আমরা পূর্ণ ব্যবহার দেখতে পাইনি।

রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়নের যে বিশাল ফারাক রয়েছে বাংলাদেশে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন,  ১৯৭২ সালে যখন বাংলাদেশের সংবিধান লেখা হয়, তখন লেখা হয়েছিল বাংলাদেশে একজন ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে। এবং সেই ন্যায়পাল যদি সমস্যা দূর করতে না পারে তবে সংসদের কাছে রিপোর্ট করবে। অর্থাৎ নির্বাহী বিভাগের ওপর খবরদারি করার জন্য ন্যায়পাল পদের সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার পর যে দলই ক্ষমতায় গিয়েছে তারা কোনো ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়নি। অথচ বলে যাচ্ছে সংবিধানের জন্য তারা জান দিয়ে দিতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, সমসাময়িক রাজনীতি, ঘটনা-দুর্ঘটনা ও তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিয়ে চলছে দ্য ডেইলি স্টারের বিশেষ আয়োজন নির্বাচন সংলাপ ২০১৮। অনুষ্ঠানে আজ (২১ ডিসেম্বর) উপস্থিত ছিলেন ড. আকবর আলি খান। উপস্থাপনায় ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের প্ল্যানিং এডিটর শাখাওয়াত লিটন।

বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন ভিডিওটিতে

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago