আজ রাত থেকেই নেতা-কর্মীদের আটকের আশঙ্কা বিএনপি’র

বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এমনকি, আজ (২২ ডিসেম্বর) রাত থেকেই নেতা-কর্মীদের আটক করা হবে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছে তারা।
Ruhul Kabir Rizvi
২২ ডিসেম্বর ২০১৮, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এমনকি, আজ (২২ ডিসেম্বর) রাত থেকেই নেতা-কর্মীদের আটক করা হবে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছে তারা।

সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ অভিযোগ করেন।

এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “সারাদেশের ৭৩টি আসন ও ১০টি জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও, ১৬টি আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন।”

তার অভিযোগ, “পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই নির্বাচন একতরফা করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেনো মরণকামড় দিচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের চালুনি দিয়ে ছেঁকে তুলছে। কোথাও কোথাও বিএনপি নেতা-কর্মীদের না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

রিজভী বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি- আজ থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মাত্রা বৃদ্ধি করা হবে। এক্ষেত্রে বিজিবি ও র‌্যাবকে বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা সরবরাহ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”

“সারাদেশের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের তালিকা স্থানীয় থানায় ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন, সেই তালিকাগুলোই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বিজিবি ও র‌্যাবের কাছে সরবরাহ করছে। সরবরাহকৃত তালিকা ধরে ধরে আজ রাত থেকেই নাকি নেতাকর্মীদের আটক করা হবে,” যোগ করেন রিজভী।

তার মতে, “ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট হিসেবে যাদেরকে মনোনীত করা হবে তাদের নির্বাচনের দু-একদিন আগেই গ্রেপ্তার করা শুরু হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) থানার ওসিরা সিল মারার জন্য প্রাপ্ত তালিকাভুক্ত আওয়ামী কর্মীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন।”

এক্ষেত্রে যেসব অভিযোগ করছে বিএনপি, সেগুলো হলো- “অপেক্ষাকৃত যুবক বয়সের কর্মীরা সিল মারার দায়িত্বে থাকবেন। পাঁচজন করে কেন্দ্র-ভিত্তিক সিল মারা গ্রুপ ঠিক করা হয়েছে। শুধুমাত্র দলনেতার কাছে মোবাইল থাকবে এবং ২৯ তারিখ রাতে নির্দিষ্ট নম্বর ব্যতীত অন্য কোনো কল রিসিভ করবে না। থানা থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই-এর নেতৃত্বে থাকবে এবং রাতে ৩০% ভোট সিল মারা হলে তারা কেন্দ্র থেকে চলে যাবে। রাত ও দিনের বেলা কেন্দ্রের বাইরে পাহারা দেওয়ার জন্য কর্মীদের দ্বারা পৃথক টিম গঠন করে দিয়েছে পুলিশ। সিল মারার সময় বাইরে সর্তক অবস্থায় থাকবে বিভিন্ন বাহিনী।”

বিএনপি’র আরও অভিযোগ, “দিনের বেলায় আওয়ামী লীগের অন্য কর্মীরা লাইনে থাকবে, বার বার বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আবার ঠিক করা হবে এবং ভোট প্রদানের গতি অনেক মন্থর করা হবে। পুলিশের মোবাইল টিম কর্তৃক বিরোধীদলের সমর্থিত এলাকার লোকদের আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে। ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা অধীনস্থ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে বলেন, যারা সরকারকে বিজয়ী করতে চান, তারা হাত তুলুন- এভাবে প্রতিশ্রুতি আদায় করা হচ্ছে অধস্তন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।”

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

3h ago