সব ছাপিয়ে গেল এমন আম্পায়ারিং
চতুর্থ ওভারের শেষ বল। ওশান টমাসকে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিলেন দারুণ খেলতে থাকা লিটন দাস। কিন্তু তার আগেই ওভারস্টেপের কারণে আম্পায়ার তানবির আহমেদ হাত তোলে দেখিয়ে ফেলেছেন ‘নো’ বল। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় অবাক দৃশ্য। আসলে ওভারস্টেপই করেননি টমাস। ঠিক এক বল আগেই এরকম আরেকটি ‘নো’ বল ডেকেছিলেন আম্পায়ার তানবির। ফ্রি হিটে পেয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান লিটন। ওই ভুলে খুব প্রতিবাদ না করলেও আউটের পর ভুল ‘নো’ বলের রেশে মাঠে তুমুল প্রতিবাদ মুখর হয়ে পড়ে উইন্ডিজের খেলোয়াড়রা। খেলা বন্ধ থাকে আট মিনিট।
উইন্ডিজের দাবি নায্য। কিন্তু ‘নো’ বলের নিয়ম অনুযায়ী মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এই সিদ্ধান্ত ভুল হলেও রিভিউ নেওয়ার কোন উপায় নেই। তবু বেশ অনেকক্ষণ তর্ক চালিয়ে যায় উইন্ডিজ। নেমে আসেন চতুর্থ আম্পায়ার শরিফুদৌল্লাহ সৈকত ও ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। তবে সিদ্ধান্ত বদলানোর কোন নিয়ম না থাকায় বিফলেই ফিরতে হয় উইন্ডিজকে।
ফ্রি হিট হয়ে যাওয়া ঠিক পরের বলেই ছক্কা হাঁকান স্ট্রাইক পাওয়া সৌম্য সরকার। টমাসের ওই ওভার থেকে আসে ৩১ রান।
আম্পায়ার তানবির কেবল এই ম্যাচেই বড় ভুল করেছেন এমন না। আগের ম্যাচেও দৃষ্টিকটু ভুল করতে দেখা গেছে তাকে। শেমরন হেটমায়ারের ব্যাটে বেশ বড় এজ হলেও এলবডব্লিও দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, পরে রিভিউতে বাঁচেন হেটমায়ার। ওই ম্যাচে এভিন লুইসকেও ইনসাইড এজে এলবডব্লিও দিয়েছিলেন আরেক আম্পায়ার গাজী সোহেল, রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনিও। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময়ও হয়েছিল ভুল। ২১ রানে থাকা সাকিব আল হাসানের ব্যাট ছুঁয়ে বল উইকেটের পেছনে গেলেও তা ওয়াইড দিয়েছিলেন তানবির। সাকিবের ব্যাটে লেগেছে কিনা তা নজর এড়িয়ে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ানদেরও।
আম্পায়ারদের ভুলের দিনে ম্যাচ থেকে ফোকাস নষ্ট করে গড়বড় করে ফেলে বাংলাদেশও। সৌম্য, সাকিব, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ দ্রুত ফিরে গেলে ১৯১ রান তাড়ায় ৮০ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
Comments