‘বেশ কিছু নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা সংযুক্ত হয়েছে যাদেরকে আমরা চিনি না’

ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ বলেছেন, এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন অভিজ্ঞ বেশ কছু পর্যবেক্ষকদের বাদ দিয়েছে। অন্যদিকে বেশ কিছু নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা সংযুক্ত হয়েছে যাদেরকে সত্যি বলতে আমরা চিনি না।

ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ বলেছেন, এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন অভিজ্ঞ বেশ কছু পর্যবেক্ষকদের বাদ দিয়েছে। অন্যদিকে বেশ কিছু নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা সংযুক্ত হয়েছে যাদেরকে সত্যি বলতে আমরা চিনি না। 

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে এই নির্বাচন বিশ্লেষক বলেন, একটি সংশয় আমাদের মনে জাগে যে কেন আমাদেরকে অবাধে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেওয়া হবে না। এই সংকুচিত হয়ে যাওয়ার জায়গাটা আমাদেরকে প্রশ্নের সম্মুখীন করছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকতে এমন পরিবেশ আমি আমার ১৮ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেননি। তার ভাষায়, ‘কখনো দেখিনি নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। অনেকগুলো আসনে কোনো প্রতিপক্ষই থাকবে না। ফলে সেখানে একপেশে নির্বাচন হবে।’

২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ৫৯৩ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে কাজ করেছিলেন। দেশীয় পর্যবেক্ষক ছিল ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৫৯ হাজার জন। অথচ এবার নির্বচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ২৫-২৬ হাজারের বেশি হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংখ্যাও কমে ১০০’র নিচে নেমে যাচ্ছে।

শারমিন মুরশিদের দাবি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বেশ কিছু নির্ধারক বিষয় থাকে যেগুলো নির্বাচন কমিশন নিজেই মানেনি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহল যদি মনে করে আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই নেই তাহলেও তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায় না। উদাহরণ হিসেবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের কথা টেনে বলেন, ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক মহল সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি।

এবার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক কম আসার পেছনে মূলত দুটি কারণ দেখছেন শারমিন মুরশিদ। তার মতে একটি কারণ হলো, বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে তারা আর অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে মনোযোগ দেওয়া তাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোরও সক্ষমতা বেড়েছে। অন্য কারণ হতে পারে যে, এবারও বাংলাদেশে একটি একপেশে নির্বাচন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, সমসাময়িক রাজনীতি, ঘটনা-দুর্ঘটনা ও তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিয়ে চলছে দ্য ডেইলি স্টারের বিশেষ আয়োজন নির্বাচন সংলাপ ২০১৮। অনুষ্ঠানে আজ (২২ ডিসেম্বর) উপস্থিত ছিলেন ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ। উপস্থাপনায় ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের প্ল্যানিং এডিটর শাখাওয়াত লিটন।

বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন ভিডিওটিতে

Comments