অনাকাঙ্ক্ষিত ওই বিরতি বিপক্ষে গেছে বাংলাদেশের

Ban Vs WI t20
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওশান টমাসের বলে ভুল করে আম্পায়ার তানবীর আহমেদের ‘নো বল’ ডাকার ঘটনায় খেলা বন্ধ থাকে আট মিনিট। ওই সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বাদানুবাদে জড়ান উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা। এর আগে উড়তে থাকা বাংলাদেশের ইনিংস বিরতির পরই পথ হারায়। বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস মনে করেন অপ্রত্যাশিত ওই বিরতিই কাল হয়ে গেছে তাদের।

আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৯১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল উইন্ডিজ। বড় লক্ষ্যে তামিম ইকবালকে হারালেও লিটন দাসের ঝড়ে ঠিক পথেই এগুচ্ছিল সাকিব আল হাসানের দল। কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জন্ম বিতর্কিত ঘটনার।

চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বল ওভারস্টেপের কারণে ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার তানবীর। রিপ্লেতে দেখা যায় লাইনের ভেতরের পা পড়েছিল টমাসের। ওই বলে চা মারেন লিটন। পরে ফ্রি হিট পেয়ে মেরে দেন ছক্কা। এরপরের বল ওয়াইড করেন টমাস। পরের বলে মিডঅফে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন, কিন্তু আম্পায়ার আগেই হাত নেড়ে আবার জানান এটিও ‘নো’ বল। জায়ান্ট স্ক্রিনে খানিক পরই  ভেসে আসা রিপ্লেতে দেখা যায় এটিও আসলে ছিল বৈধ ডেলিভারি। টানা দুটি বৈধ ডেলিভারি ‘নো’ ডাকায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লো ব্র্যাথওয়েট। দলের সবাইকে জড়ো করে খেলা বন্ধ করেন তিনি।

নেমে আসেন চতুর্থ আম্পায়ার শরিফুদৌল্লাহ সৈকত ও ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। কিন্তু ‘নো’ বলের ক্ষেত্রে রিভিউ চাওয়ার নিয়ম না থাকায় বিফলে ফিরতে হয় উইন্ডিজকে।

খেলা শুরুর পর ফ্রি হিটে সৌম্য সরকার ছক্কা মারলেও পরের কয়েক মিনিটে এলোমেলো হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। চার ওভাররে ১ উইকেটে ৬৫ থেকে ৯৮ রানেই হারায় ৮ উইকেট। সৌম্যর পর সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেন দ্রুত।

উড়তে থাকা আশার বেলুন হুট করে ফুটো হয়ে যাওয়ায় অপ্রত্যাশিত বিরতি বড় কারণ মনে করছেন রোডস, ‘যদি আপনি আজকের ম্যাচ দেখেন, উইন্ডিজরা উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল, মোমেন্টাম তাদের পক্ষে ছিল। এরপর আমরা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসি। আমাদের ইনিংস শুরুর সময় মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে ছিল। এরপর ম্যাচের মাঝে খেলা বন্ধ হওয়ায় মোমেন্টাম ওদের পক্ষে চলে গিয়েছে।’

‘আমি আমাদের প্লেয়ারদের ড্রেসিংরুমে শান্ত রাখার চেষ্টায় ছিলাম। চেষ্টা করেছি মাঠে বার্তা পাঠাতে, বলতে চেয়েছি, 'দেখ আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। তোমরা সতর্ক থাক এবং যখন খেলা শুরু হবে তখন মনোযোগ ধরে রেখ।' কারণে এমন অবস্থায় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বার্তা দেয়ার পরও সেটা কাজে আসেনি, কারণ এমন অবস্থায় সবসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখা কঠিন। এটাই আমাদের হয়েছে, আমরা ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়েছি।’

Comments

The Daily Star  | English

7 colleges to continue operating under UGC until new university formed

Prof AKM Elias, principal of Dhaka College, to be appointed as the administrator

10m ago