আ. লীগের ভেতরে থাকা ‘রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস’র তালিকা দিলেন রিজভী

rizvi
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। স্টার ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে উল্লেখ করে এর নেতারা যেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই দাবি যখন তুঙ্গে ঠিক এই সময়েই আওয়ামী লীগের ভেতরে ‘রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, গণহত্যাকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নি সংযোগকারীরা’ রয়েছেন জানিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ২২ জনের পরিচয় উল্লেখ করে এ তালিকা প্রকাশ করেন।

তালিকা দিয়ে রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-যারা যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দেয় তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। ধানের শীষকে ভোট দেওয়া মানে দুর্নীতি, লুটপাট ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক লুটের কথা তো বললেন না? এটা কে লুট করেছে? সব ব্যাংকগুলো লুটপাট করে খালি করেছে কারা? শেয়ার বাজার লুট করেছে কারা? আপনার অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন- এই সরকারের আমলে পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের খবর প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে- গত দশ বছরে সাড়ে বাইশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এই সরকারের লোকজন। আবার একসময় হলমার্ক কেলেঙ্কারির সময় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন- চার হাজার কোটি টাকা নাকি কোন টাকাই নয়। আওয়ামী সরকারের আমলে দুর্নীতির তীব্রতায় শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে সরকারী কর্মচারীদের বলেছেন- সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ খেতে। আওয়ামী সরকার আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারী।”

রিজভীর দাবি, “জনগণকে প্রতারিত করে প্রধানমন্ত্রী আবারও মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে চলেছেন।”

রিজভীর অভিযোগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে এক ডজন ব্যক্তির বিচার করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে এ বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নীরব। এ দলটিতেও রয়েছে কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নি সংযোগকারীসহ অসংখ্য ব্যক্তি স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল। এই ব্যক্তিরাসহ তাদের সন্তান-সন্ততি এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বা তাদের টিকিটে নির্বাচন করছেন। কিন্তু, এখন তারা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময় বক্তৃতায় বলেছেন, আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলে দেখিয়ে দেন-আমরা তাদের বিচার করবো।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের ২২ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোন না কোনভাবে ৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Ishraque Hossain demands resignation of Asif Mahmud and Mahfuj Alam

Ishraque vows to stay on streets until demands met

He also called for the resignation of two advisers — Mahfuj Alam and Asif Mahmud

1h ago