ওয়ানডের সাফল্য ধরে সবচেয়ে বেশি জয়ের বছর
বছরের শেষ ম্যাচটা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। জিততে পারেনি উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও। তবে তাতে ম্লান হচ্ছে না বাকি বছরের সাফল্যর আলো। পুরো বছর জুড়েই মাশরাফি মর্তুজা, সাকিব আল হাসানরা বাংলাদেশকে পাইয়ে দিয়েছেন দারুণ সব জয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরু থেকে এই বছরই সব মিলিয়ে বেশি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর বেশিরভাগই এসেছে ওয়ানডে সংস্ক্রণের হাত ধরে।
১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। এরপর কেটেছে আলো-আঁধারে ঘেরা ৩২ বছর। এই সময়ে ২০১৮ সালের মতো আর কোন বছরেই এত জয় পায়নি বাংলাদেশ। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জিতেছে মোট ২১ ম্যাচ। এর আগে ২০০৬ সালে জিতেছিল ১৯ ম্যাচ। তবে এ বছর সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব-মাশরাফিরা। সেদিক থেকে ২০০৬ সালে সাফল্যের হার বেশি। সেবার ১৯ জয় এসেছিল ৩৩ ম্যাচে। যদিও ওইসময় অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষের জেতার সংখ্যা ছিল বেশি।
এ বছর জেতা মোট ২১ জয়ের মধ্যে ১৩টিই এসেছে ওয়ানডে ফরম্যাটে। পুরো বিশ্বের সব দল মিলিয়ে জয়ের হারের তৃতীয় সেরা হয়েছে মাশরাফি মর্তুজার দল। বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানকে টপকে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠা। শিরোপার কাছে গিয়ে হারায় সবচেয়ে বড় আক্ষেপের জায়গাও নিঃসন্দেহে ওটাই।
এবার সবচেয়ে বেশি ৮ টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরমধ্যে জিতেছে ৩টিতে। দুটি এসেছে উইন্ডিজের বিপক্ষে, অন্যটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে হারটিও হয়ে থাকবে বছরের বড় ক্ষত হিসেবে।
টি-টোয়েন্টি বরাবরই অস্বস্তিতে ভোগা বাংলাদেশ এই বছরেরও নিজেদের অন্যভাবে চেনাতে পারেনি। বছর জুড়ে ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে সাকিব আল হাসানের দল জিতেছে মাত্র ৫ ম্যাচ। তারমধ্যে শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিকদের টপকে নিদহাস কাপের ফাইনালে উঠা আর উইন্ডিজ সফরে গিয়ে ওদেরকে সিরিজে হারানো সুখস্মৃতি হয়ে থাকবে।
Comments