ইভিএম-এ ভোট হবে যেভাবে
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে এবার ভোটগ্রহণ হবে। ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল নিয়ে গঠিত বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিরোধিতার মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেয় যে এবার ছয়টি আসনের ৯০০ ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এসব কেন্দ্রে সনাতন ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোট দেওয়া যাবে না। ভোটগ্রহণ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইভিএম-এ ভোট গণনা ও ফলাফল পাওয়া যাবে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইভিএম ব্যবহারের পদ্ধতি:
ভোটার সনাক্তকরণ
স্মার্ট কার্ড বা আঙ্গুলের ছাপ বা ভোটার নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে একজন ভোটারকে সনাক্ত করা হবে। এর যেকোনো একটি ইভিএম মেশিনে প্রবেশ করানোর সঙ্গে সঙ্গে মনিটরে ভোটারের তথ্য দেখানো হবে। ভোট কেন্দ্রে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার তথ্য যাচাই করে ‘কনফার্ম’ বোতামে চাপ দিবেন। এর মাধ্যমে গোপন ভোটদান কক্ষে থাকা ‘ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে।
যেভাবে ভোট দিবেন
ভোটার ভোটকেন্দ্রে থাকা গোপন ভোটদান কক্ষে প্রবেশ করবেন। সেখানে ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট থাকবে। ডিজিটাল ব্যালট ইউনিটে বামপাশে প্রার্থীদের প্রতীক ও ডানপাশে নাম দেখা যাবে। ভোট প্রদানের জন্য পছন্দের প্রতীকের বামপাশে কালো বোতামে চাপ দিতে হবে। এতে পছন্দের প্রতীকের পাশের সাংকেতিক বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে এর পর ডানপাশের সবুজ বোতামতে চাপ দিতে হবে।
ভুল ভোট দিয়ে ফেললে করণীয়
কোনো কারণে ভুল প্রতীক সনাক্ত করলে সবুজ বোতাম চাপার আগপর্যন্ত তা সংশোধনের সুযোগ থাকবে। ভুল সংশোধনের জন্য ডানপাশের লাল বোতামে চাপ দিতে হবে। এতে পূর্বের কমান্ড বাতিল হয়ে যাবে। এবং ভোটার আবারো প্রতীক পছন্দ করার সুযোগ পাবেন। সংশোধন শেষে সবুজ বোতাম চেপে ভোট নিশ্চিত করা যাবে।
Comments