জাপানে বিদেশি শ্রমিক নেওয়া দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ
বিদেশি শ্রমিকদের জন্যে দরজা খুলছে জাপান- এমন খবরে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের মতো খুশি হয়েছিলো বাংলাদেশের মানুষও। কিন্তু, শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে যে আটটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে সূর্যোদয়ের দেশটি তার তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম।
সম্প্রতি, নিক্কি এশিয়ান রিভিউ জানায়, বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে জাপান এশিয়ার আটটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবছে। সেই দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের নাম। শ্রমিক নেওয়া দেশের তালিকায় নেপালের নাম রয়েছে বলেও জানিয়েছে অন্য একাধিক সংবাদমাধ্যম।
চুক্তি হলে এই দেশগুলোর নাগরিকদের নতুন ধরনের ভিসা দেওয়া হবে। এসব দেশগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে জাপান সরকার কথা বলতে শুরু করেছে। এই বিশেষ ভিসা ব্যবস্থা আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল প্রকাশিত (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জাপান টুডে জানায়, শিনজো আবের সরকার বিদেশি শ্রমিকদের জাপানে প্রবেশ সহজ করার জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। জাপানে আসার পর শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান যাতে ভালো থাকে এবং দেশটির সংস্কৃতির সঙ্গে তারা যেনো খাপ খাইয়ে নিতে পারে যে জন্যে সরকার ২২.৪ বিলিয়ন ইয়েন খচর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আবে মনে করেন, এমন ব্যবস্থা নিয়ে হবে যাতে বিদেশি শ্রমিকরা জাপানে কাজ করতে আগ্রহ বোধ করেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, মূলত এশিয়ার নয়টি দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। দেশগুলো হলো: কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দেশের শ্রমিকদের অবকাঠামো নির্মাণ, রেস্তোরাঁ, কৃষি এবং নার্সিংয়ের কাজে নিয়োগ করা হবে।
এ সংক্রান্ত জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটের প্রেস রিলিজ অংশে একটি পিডিএফ ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে। তারিখ ও স্বাক্ষর ছাড়া সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “জাপানে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে মর্মে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস অবগত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান কর্মী সংকটের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি জাপানে সরাসরি কর্মী নিয়োগের একটি আইন পাশ হয়েছে।”
প্রাথমিকভাবে আটটি দেশ- ভিয়েতনাম, চীন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া মিয়ানমার এবং পূর্ব এশিয়ার আরও একটি দেশকে নির্বাচিত করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে সেই তালিকায় বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও এতে জানানো হয়।
এছাড়াও, বলা হয়েছে “জাপানে সরাসরি কর্মী নিয়োগ কিংবা টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে যে কোন তথ্য জানার জন্য সরাসরি টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন:
Comments