নির্বাচন বর্জন করার প্রশ্নই আসে না: মওদুদ

Moudud Ahmed
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ। ছবি: ফাইল ফটো

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আজ (২৬ ডিসেম্বর) থেকে আর মাত্র তিনদিন বাকি। কিন্তু, এখন পর্যন্ত সরকারি দল আওয়ামী লীগ, সরকার ও প্রশাসনের দাপটে ভোটের মাঠে তেমন একটা দাঁড়াতেই পারেনি প্রধান বিরোধীদল বিএনপি।

এরইমধ্যে গতকাল জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা’র সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর জোট সঙ্গীদের নিয়ে বেরিয়ে যান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা’র পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সবার জন্য সমান সুযোগ না থাকা, নির্বাচন কমিশনের মনোভাব, পুলিশের আচরণের প্রেক্ষিতে বিএনপি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবে কী না, সে বিষয়টিই চাওর হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এ নিয়ে আজ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের কথা হয়।

মওদুদ আহমদ বলেন, “এখন আমাদের নির্বাচন বর্জন করার প্রশ্নই আসে না। যা হওয়ার হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা নিয়ে আমাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে।”

“আমার এলাকার কথাই ধরুন, এখানে তো আর সেইভাবে নির্বাচন হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত আমার কাছে বাজে সংবাদ আসছে। আমার এই কর্মীর বাড়িতে হামলা করেছে, ওই কর্মীদের মেরেছে, বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও আমি কোনোরকমে আঁকড়ে ধরে বসে আছি,” যোগ করেন মওদুদ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “আমরা যখন ২০১৪ সালের নির্বাচন করলাম না, আমি তখন অবশ্য জেলখানায় ছিলাম। আমি বাইরে থাকলে নির্বাচনের পক্ষেই থাকতাম। এবারও আমি নির্বাচনের পক্ষে ছিলাম। ঠিক আছে- যেকোনো অবস্থাই হোক, আমরা নির্বাচন করি। কারণ, সরকারেরও তো লজ্জা-শরম আছে। এবারই তো প্রমাণ হবে যে, সরকারি দলের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে কী না।”

“কিন্তু, এখন দেখছি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তো দূরের কথা, তফসিল ঘোষণার আগে যা ছিলো, তফসিল ঘোষণার পর সার্বিক পরিস্থিতির আরও অনেক অবনতি হয়েছে। আমার এখানে ১৪/১৫টি মামলা দিয়েছে। আমার কোনো নেতা-কর্মীই এলাকায় নেই। আমি কাদের নিয়ে নির্বাচন করবো?”

“ভোটের মাঠে থেকে আমাদের অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শুধু আর্থিক ক্ষতিই না, আমাদের দলীয় নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবারের কষ্টের কোনো শেষ নেই। এক জায়গায় জানাজা পড়তে গেছি। সেখানেও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে।”

“টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব, তারপরও আমরা নির্বাচনে থাকবো। কিন্তু, থাকা না থাকা এখন একই কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে,” যোগ করেন বিএনপি’র এই  শীর্ষ নেতা।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

2h ago