আমার সম্ভাব্য এজেন্টদের খুঁজে খুঁজে গ্রেপ্তার করছে: মান্না

Mahmudur Ragman Manna
মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করে বলেছেন যে তাকে হারিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকারি দল। এছাড়াও, মহাজোটের প্রার্থীর কাছ থেকে ‘এলাকায় পেলেই তাকে মারা হবে’- এমন হুমকি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

আজ (২৮ ডিসেম্বর) দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে মান্না জানান, বর্তমানে বগুড়া শহরের হোটেল নাজ গার্ডেনে অবস্থান করছেন তিনি। কিন্তু, হোটেলে ওঠার পর থেকেই তাকে সার্বক্ষণিক পুলিশি নজরদারির মধ্যে থাকতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, “গতকাল সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে হঠাৎ হোটেল এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যায়। এর আগে, তারা হোটেলের বাইরে অবস্থান নিলেও, কাল হোটেলের লবিতে এসে জিজ্ঞেস করেছে যে- আমার এখানে কে আসে, কে যায়? এর মধ্যে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কর্মচারীরা আমাকে জানালো- পুলিশের লোকেরা আমার রুম চেক করতে আসতে চাচ্ছে। কিন্তু, তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমি নিজেই নীচে নেমে দেখি ডিবি পুলিশের সাত সদস্যের একটি দল অপেক্ষা করছে। তাদের দুজনের হাতে ব্যাজ ও অন্য চারজনের গায়ে ডিবি পুলিশ লেখা জ্যাকেট দেখতে পেয়েছি। আর পুলিশের ভ্যান ছিলো বাইরে।”

মান্না বলেন, “দেখা হতেই পুলিশ সদস্যরা আমাকে সালাম দিলেন। আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছি- হোটেলে এসে কেনো এমন নজরদারি চালাচ্ছেন? তারা বললো- আমার নিরাপত্তার জন্যই এসেছে। কিন্তু, তাদের এ কথায় আমি খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারিনি। বাস্তবতা হলো- আমি যেখানেই যাই, সেখানে অন্তত দুই আড়াইশো লোক থাকে। কিন্তু, পুলিশের কারণে তারা আর আমার কাছে ভিড়তে সাহস পাচ্ছে না। এর মধ্যে আবার আমার নেতা-কর্মীদের ফোন ট্র্যাকিং করেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”

নাগরিক ঐক্যের এই আহ্বায়ক আরও বলেন, “কী এক বিভীষিকাময় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমি সরে গেলেই বোধহয় ক্ষমতাসীনদের জন্য ভালো হতো। কিন্তু, আমি তো সরে দাঁড়াচ্ছি না। এলাকায় আমার প্রচুর জনসমর্থন রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হলেও এই আসনে আওয়ামী লীগের ৮০ শতাংশ লোকও আমার সঙ্গে আছে।”

নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশ সরাসরি তার প্রতিপক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, “পুলিশ নিজেদের মধ্যে এবং সরকারি দলের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত মিটিং করছে। আমার সম্ভাব্য এজেন্টদের খুঁজে খুঁজে গ্রেপ্তার করছে। এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে শুনেছি। ভয়ে কেউ এজেন্ট হতেও চাচ্ছে না।”

মহাজোটের প্রার্থীর হুমকিসহ অন্যান্য বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি জানিয়ে মান্না বলেন, “পুলিশকে বেশ কয়েকবার ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পুলিশ বলছে, ফোর্স নেই, তাই সব ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে, ভোটের দিন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না বলে জানিয়েছেন তারা।”

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

10h ago