শপথ নিতে ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী প্রার্থীদের আহ্বান কাদেরের

শপথে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। স্টার ফাইল ছবি

শপথে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এখনও মনে করি তারা জনগণের রায়কে অপমান করবে না। এর মধ্যে যে কয়জন নির্বাচিত হয়েছে তারা জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়েছে। জনগণের রায়কে যেন অসম্মান না করে এটা আমি বলতে চাই।

এসময় তিনি ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আবারও ভুল না করার পরামর্শ দেন।

নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ঘোষণাকে কীভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দেশে আন্দোলন করার মতো কোনো অবজেক্টিভ কন্ডিশন নেই এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মতো কোনো সাবজেক্টিভ প্রিপারেশনও নেই। এ অবস্থায় আন্দোলনের সূত্র তাদের বিরুদ্ধে। গতকাল (সোমবার) তাদের নেতাদের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখেছেন? এত নার্ভাস, হতাশায় তারা ভেঙে পড়েছেন। নেতারাই হতাশায় ভেঙে পড়েছেন, কর্মীরা কিভাবে আশাবাদী হবে?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন করতে হলে সেরকম চেতনা দরকার, সেরকম মানসিকতা দরকার, সুসংগঠিত করতে সেরকম প্রস্তুতি দরকার। সেই প্রস্তুতিটা তাদের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না। যদি থাকত সারা দেশে তাৎক্ষণিক একটা মিছিল করতে পারত। এরকমটাও দেখলাম না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে আপত্তি তারা করেছে এর একটা প্রতিবাদও কোথাও দেখলাম না। বিএনপি নেত্রী কারাগারে তার পরও তারা কোনো সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারেনি। এখন তাদের আরও ভাঙাহাট। এই ভাঙাহাট নিয়ে নতুন করে আন্দোলনের সক্ষমতা অর্জন করবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

এবারের নির্বচন ১৯৫৪, ১৯৭০ সালের মতো হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশে যে গণজোয়ার, ৭০ সালের পর আমরা এমন জোয়ার দেখিনি। ৭০ সাল, ৫৪ সালের ফলাফল যেমন নৌকার পক্ষে হয়েছিল, এবারও সেরকমটাই হয়েছে। তবে আমি অবাক হয়েছি, এতবড় দল বিএনপি যার কোনো সাংগঠনিক অবকাঠামো নেই। সাংগঠনিক কাঠামোতে দুর্বলতা থাকার কারণেই তারা আন্দোলন করতে পারেনি। তাদের অবস্থা এতই দুর্বল যে ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীরাও নিজেদের কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেননি।

তিনি বলেন, এজেন্ট না দিতে পারলে ভোটের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া তো এমন হবেই। আমরা তো তাদেরকে অনুরোধ করেও এজেন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারিনি। কোথাও তাদের পোস্টার নেই, ব্যানার নেই এগুলো কিসের লক্ষণ? নির্বাচনে হারার আগেই তারা হাল ছেড়ে দিয়েছে। তাহলে নির্বাচন করবে কেমন করে। নির্বাচন করার মতো কোনো প্রস্তুতিই তাদের মধ্যে ছিল না। মওদুদ আহমেদ সাহেবের সঙ্গে এমন জয় আমরা আশা করিনি। আমি ভেবেছিলাম তিনি থাকবেন, উনার এজেন্টরা থাকবেন, তাহলে তো ভোটের ব্যবধানটা অনেক কমে যেত।

তিনি বলেন, আসলে নির্বাচন করার নামে একটা নাটক তারা করেছেন, সারা বিশ্বকে দেখানোর জন্য এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। নির্বাচনে অংশ নিয়েও নির্বাচনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি তারা গ্রহণ করেননি।

জাতীয় পার্টিকে এবারও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে নাকি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে রাখা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago