১০ জানুয়ারির মধ্যে জানা যাবে সরকার কেমন হবে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নবগঠিত সরকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে কি না, সে বিষয়টি আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে জানা যাবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নবগঠিত সরকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে কি না, সে বিষয়টি আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে জানা যাবে।

তিনি বলেন, “সংসদের বিরোধী দলে গতবার যারা ছিল তারা তো আছেই। এছাড়া বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট থেকে আরও সাতজন আছেন। তাদের ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না, তাতো আমাদের জানা নেই। যা হবে ১০ জানুয়ারির মধ্যেই জানা যাবে।”

ওবায়দুল কাদেরের সাথে আজ বুধবার সচিবালয়ে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতি হলো জোয়ার-ভাটার মতো। জোয়ার সবসময় থাকে না। আওয়ামী লীগের জোয়ার যে সবসময় থাকবে এমনটি ভাবার কারণ নেই। তবে আওয়ামী লীগে জোয়ার থাকবে, না ভাটা থাকবে তা নির্ভর করবে আমাদের কর্মকাণ্ডের ওপর।

নতুন করে নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো ইশতেহারের ওয়াদা পূরণ, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা। আমাদের বিশাল জয় হয়েছে, বিশাল দায়িত্ব, বিশাল প্রত্যাশা রয়েছে জনগণের।”

বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১০ বছর ধরে তো আন্দোলনের কথা শুনে আসছি। তারা যদি আন্দোলন করতে চায় তাহলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। আন্দোলনের নামে কোনো প্রকার সহিংসতা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণ করবে।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দোষীরা কেউ পার পাবে না। পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বেশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি পেতেই হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago