কিউবা বিপ্লবের ৬০ বছর, ক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর
কিউবা বিপ্লবের ৬০ বছর পূর্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রাউল কাস্ত্রো।
গত ১ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে কিউবা বিপ্লবের নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর ছোটভাই রাউল কাস্ত্রো বলেন, দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতি পুরনো সংঘাতের পথে আবার হাঁটতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আজ থেকে ৬০ বছর আগে কিউবার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সান্তিয়াগো ডি কিউবা শহরে যেখান থেকে ফিদেল কাস্ত্রো কিউবায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের বিজয় ঘোষণা করেছিলেন সেই শহরে আয়োজিত বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে রাউল বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আবারও কিউবার বিরুদ্ধে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে।”
সংস্থাটি আরও জানায়, সামরিক বাহিনীর টুপি মাথায় দিয়ে অনুষ্ঠানে আসেন ৮৭ বছর বয়সী রাউল। সেসময় তিনি উত্তর আমেরিকার শক্রভাবাপন্ন দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বাণী তুলে ধরেন।
তবে তার অভিযোগ, কিউবাকে নিয়ে নতুন করে মিথ্যা ছড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি, আমেরিকা অঞ্চলে সব অপরাধের দায় ট্রাম্প প্রশাসন চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে কিউবার ওপর।
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট কিউবার তৎকালীন স্বৈরশাসক ফুলগেনসিও বাতিস্তার পতন ঘটিয়ে দেশটিতে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের বিজয় ঘোষণা করেন।
কিউবায় বিপ্লব সফল হলে তা বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে নতুন আশার জন্ম দেয়। এর ফলে পুঁজিবাদী দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার সৃষ্টি হয় সংঘাতের কালো অধ্যায়।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, দীর্ঘ ঠাণ্ডাযুদ্ধের পর বিগত ওবামা প্রশাসন কিউবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করায় দেশ দুটির মধ্যে একটি বন্ধুত্ব ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো।
কিন্তু, সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার পর ক্ষমতায় এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিউবা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন। এর প্রেক্ষিতে দেশ দুটির বিদ্যমান সম্পর্কে ফিরে আসে পুরনো তিক্ততা। আর তাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে রাউল ক্ষোভ ঝেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের ওপর।
Comments