মাঠে আশরাফুল-মাশরাফির খুনসুটি
নিষেধাজ্ঞা থেকে একজন ফিরলেন পাঁচ বছর পর। আরেকজন সদ্যই হয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্য। তাই এ দুই তারকার দিকেই তাকিয়ে ছিল ক্রিকেট ভক্তরা। মাঠে কেমন করবেন তারা এ নিয়ে ছিল রাজ্যের গুঞ্জন ক্রিকেট মহলে। পারফরম্যান্সের বিচারে যতটা বিনোদন দিয়েছেন দর্শকরা, তার চেয়ে ঢের বেশি বিনোদন পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোহাম্মদ আশরাফুলের খুনসুটিতে।
এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেটে আসেন আশরাফুল। বোলিং করছিলেন তখন মাশরাফি। তাই শুরুতেই বন্ধু মাশরাফির বল মোকাবেলা করতে হয় আশরাফুলকে। প্রথম বলটা থার্ডম্যানে ঠেলে দেন অ্যাশ। ফিল্ডার দৌড়ে আসায় তড়িঘড়ি রান নিতে দিলেন দৌড়। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে মাশরাফি তখন বলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
ফলে রান নিতে গিয়ে আশরাফুলের সামনে পড়ে যান মাশরাফি। তখন মজা করেই হাল্কা ধাক্কা মারেন রংপুর অধিনায়ককে। মুহূর্তের আকস্মিকতা কাটিয়ে পাল্টা জবাব দিলেন তিনিও। দুষ্টামিতে যে তিনিও কম যান না। বোলিং প্রান্তে হেঁটে যাওয়ার সময় ডান পা বাঁকিয়ে লাথি দেওয়ার চেষ্টা করলেন আশরাফুলকে। আশরাফুল তাই দেখে বাঁকা হয়ে গা বাঁচালেন। মাঠের মাঝে দুই বন্ধু ক্ষণিকের দুষ্টামিতে দারুণ মজা পেলেন সমর্থকরা।
আশরাফুল অবশ্য এদিন খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পাঁচ বছর পর ফিরে পাঁচ বল খেলেছেন তিনি। তাতে মাত্র ৩ রান করেই বিদায় নিয়েছেন। বন্ধু মাশরাফি ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। ২৪ রানের খরচায় পেয়েছেন ২টি উইকেট। তবে দিন শেষে হাসিটা চওড়া হয়েছে আশরাফুলেরই। কারণ লো স্কোরিং ম্যাচের রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে যে আশরাফুলের দল চিটাগং ভাইকিংসই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ দুই তারকার অভিষেক কাছাকাছি সময়ে। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে অভিষেক হয় আশরাফুলের। তার দুই মাস পর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে যাত্রা করেন মাশরাফি। আশরাফুলের মতো অভিষেকে রেকর্ড না করলেও দুর্দান্ত বোলিং করা উপাধি পান ম্যাজিক বোলার নামে। তখন থেকেই দারুণ বন্ধুত্ব এ দুই তারকার।
Comments