‘যে কেউ ম্যাচ সেরা হতে পারতো’
লক্ষ্যটা ছিল ৯৯ রানের। তাতেই ঘাম ছুটে গেল চিটাগং ভাইকিংসের। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ত্রাতা হলেন সেই রবি ফ্রাইলিঙ্ক। যার কারণেই লক্ষ্যটা সাধ্যের মধ্যে রাখতে পেরেছিল দলটি। একাই পেয়েছিলেন ৪টি উইকেট। তাও মাত্র ১৪ রানের খরচায়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা তিনি। কিন্তু তার দৃষ্টিতে এ ম্যাচে দলের যে কেউ ম্যাচসেরা হতে পারতো।
১৭তম ওভারে অধিনায়ক মুশফিক যখন আউট হলেন তখন বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল চিটাগং। তীরে এসে না আবার তরী ডুবে। কিন্তু সানজামুল ইসলামকে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ফ্রাইলিঙ্ক। ম্যাচ শেষে ৩৪ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার বললেন, ‘এটা সহজ ছিল না। আমি বেশ ভাগ্যবান ছিলাম সঠিক জায়গায় বলটা ঠেলে দিতে পেরেছি। আমাদের বোলিং বিভাগ দারুণ বোলিং করেছে। আমি ভাগ্যবান ছিলাম বলে উইকেট পেয়েছি। যে কেউ ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পারতো।’
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নেন ফ্রাইলিঙ্ক। দ্বিতীয় বলেই পান সাফল্য। অ্যালেক্স হেলসকে ফেরান তিনি। দুই বল পর আউট করেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। পরের ওভারে ফিরে আরেক ওপেনার মেহেদী মারুফকে তুলে নিলেন। তাতেই চিটাগং পেয়ে যায় দারুণ সূচনা। অখ্যাত এ দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডারের ধাক্কার জেরে নিজেদের আর সামলাতে পারেননি রংপুর রাইডার্সের ব্যাটসম্যানরা।
তবে একটা অখ্যাত নন ফ্রাইলিঙ্ক। মাত্র ৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও খেলেছেন আইপিএল। কাউন্টিতে নিয়মিত এ অলরাউন্ডার সিপিএলেও খেলেছেন। তাই এ সংস্করণের কায়দাটা তার ভালোই জানা আছে। তাই বুড়ো হাড়েও দারুণ খেলেন তিনি। হয়েছেন ম্যাচসেরা।
ফ্রাইলিঙ্কের তোপের পরও নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নিয়েছেন চিটাগংয়ের বোলাররা। ফ্রাইলিঙ্কের পর রুদ্ররূপ ধারণ করেন নাঈম হাসান। তরুণ এ অফস্পিনার পান ২টি উইকেট। কিন্তু রান দেওয়ায় ছিলেন বেশ কৃপণ। খরচ করেন মাত্র ১০ রান। দারুণ বোলিং করেন আবু জায়েদ রাহী ও সৈয়দ খালেদ আহমেদও। ফলে ৯৮ রানের বেশি করতে পারেনি চ্যাম্পিয়নরা।
রান তাড়ায় নিয়মিত ধাক্কা খেয়েছে চিটাগংও। টপ অর্ডারে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের পর অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম পৌঁছেছেন দুই অঙ্কের কোটা। এরপর সাত ও আট নম্বর ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁলেন কোন মতে। তাতে অবশ্য জয় নিশ্চিত হয়ে যায় দলটির। তবে ফ্রাইলিঙ্কের ১০ বলে করা ১২ রানের ইনিংস না হলে বেশ কঠিনই হয়ে যেত এ ম্যাচ।
Comments