সরকারকে ‘ভালো’ নির্বাচনে রাজি করাতে কূটনীতিকদের কাছে ড. কামালের অনুরোধ

নতুন করে ‘ভালো’ নির্বাচন দিতে সরকারকে রাজি করাতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকদের প্রতি অনুরোধ রেখেছেন ড. কামাল হোসেন। সেই সঙ্গে একাদশ নির্বাচনের ভোটে নানা অনিয়মের নিয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন তিনি।
dr kamal hossain
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

নতুন করে ‘ভালো’ নির্বাচন দিতে সরকারকে রাজি করাতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকদের প্রতি অনুরোধ রেখেছেন ড. কামাল হোসেন। সেই সঙ্গে একাদশ নির্বাচনের ভোটে নানা অনিয়মের নিয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন তিনি।

আজ রোববার বিকেলে গুলশানে হোটেল আমারিতে কুটনীতিকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনসহ জোটের নেতা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেশ কয়েকজন প্রার্থী। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিড আর্ল মিলারসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ ৩০টি বেশি দেশের কুটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচনের আগে ও পরের ঘটনাবলী তুলে ধরে কুটনীতিকদের ব্রিফ করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে কথা বলেন।

বিকেল ৪টা থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক থেকে বেরিয়ে ড. কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “ভালো আলোচনা হয়েছে। ভোটের দিন যা ঘটলো সেটা আমরা তুলে ধরেছি। তারাও (কুটনীতিকরা) স্বচক্ষে দেখেছেন। অর্থাত এটা নিয়ে কোনো বির্তক হয়নি।”

“আমি বলেছি, তোমরা সরকারকে বুঝাও যে, এর সমাধান করতে হলে আরেকটা ভালো নির্বাচন দিতে হবে।”

জনগণ ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, “তারা বলেছে যে, তোমরা কী চাও? আমরা বলেছি, …আরেকটা ভালো নির্বাচন সরকার দিলে শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্য আমরা সবাই মিলে গড়ব।”

কুটনীতিকদের জবাবের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এখন আমাদের কথা হলো যে, ঠিক আছে ‍যা হবার হয়েছে। এখন একটা ভালো নির্বাচন দেওয়া হোক। আমরা বলেছি সবাই গঠনমূলক একটা ভুমিকা রাখতে পারে।”

তিনি বলেন, “আমরা কারো বিপক্ষে নই। সরকারকে আমরা বলব যে, আমরা মনে করি, সকলের শুভাকাঙ্ক্ষি হিসেবে দেশে শান্তিপূর্ণভাবে আরেকটা নির্বাচন হলে তার যা ফলাফল হয় তার ভিত্তিতে একটা গণতান্ত্রিক সরকার হবে। সেই সরকারই মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে।”

বৈঠকে নির্বাচনে ভোটের নানা অনিয়মের একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। কুটনীতিকদের তথ্য প্রমাণসহ কাগজপত্র সরবারহ করা হয়।

নির্বাচনী প্রচারনার সময় ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা ধানের শীষের যেসব প্রার্থী হামলার শিকার হয়েছেন বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের মধ্যে গয়েশ্বর রায়, আফরোজা আব্বাস, রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা, জেবা খানও আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের মধ্যে আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, তাবিথ আউয়াল, গোলাম মওলা রনি, জেএসপির আসম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রম চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago