বাড়ি ফিরলে ‘ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’
থাইল্যান্ড বিমানবন্দরের একটি হোটেল কক্ষে নিজেকে আটকে রেখে সৌদি নারী জানালেন যে তিনি বাড়ি ফিরতে চান না। বললেন, বাড়ি ফিরলে ‘ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’।
১৮ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুনের এই আর্জি সাড়া ফেলেছে সারা দুনিয়ায়। এ বিষয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সৌদি নারীর আজ (৭ জানুয়ারি) সকালে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে কুয়েত সিটিতে ফেরার কথা ছিলো। সেখানেই তার পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর এশিয়া বিভাগের উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন এক টুইটার বার্তায় বলেন, “মেয়েটি তার হোটেল কক্ষে নিজেকে আটকে রেখেছে এবং বলছে যে, সে সেখান থেকে যাবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে তার দেখা হয় এবং তাদের কাছে আশ্রয় চাওয়া যায়।”
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, রাহাফ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুয়েতে বেড়াতে আসেন। গত সপ্তাহে সেখান থেকে তিনি থাইল্যান্ডের একটি উড়োজাহাজে চড়ে বসেন। উদ্দেশ্য- অস্ট্রেলিয়ার গিয়ে আশ্রয় চাবেন দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে। তিনি ব্যাংকক বিমানবন্দরকে বেছে নেন ট্রানজিট হিসেবে।
কিন্তু, গত ৫ জানুয়ারি উড়োজাহাজ থেকে নামতেই রাহাফ দেখেন একটি লোক তার নাম লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মেয়েটিকে জানান যে তিনি তাকে থাইল্যান্ডের ভিসা পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করবেন। তারপর, তার পাসপোর্ট নিয়ে উধাও হয়ে যান সেই ব্যক্তি।
এরপর, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্মকর্তারা রাহাফকে আটকে দেয় ব্যাংকক বিমানবন্দরে। তবে অস্বীকার করেছে যে তারা সৌদি সরকারের অনুরোধে এমনটি করেনি। মেয়েটির কাছে অন অ্যারাইভাল ভিসার জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো না বলেই তাকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি থাই সরকারের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের মতে, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে রাহাফ ব্যাংকক বিমানবন্দরে ট্রানজিট হোটেল কক্ষে নিজেকে আটকে রাখেন যাতে থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ তাকে তার দেশে ফিরিয়ে দিতে না পারে।
Comments