যেভাবে রাসেলকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন শুভাগত
টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বজুড়েই বিগ হিটিংয়ের জন্য নামডাক আন্দ্রে রাসেলের। ব্যাটের তাণ্ডবে প্রায়ই কচুকাটা করেন বোলারদের। অথচ সেই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানকে একদিনের জন্য হলেও আড়ালে ফেলে দিয়েছিলেন শুভাগত হোম। রাসেলকে পাশে রেখেই রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের শেষের ঝড়ের মূল নায়ক শুভাগত। অথচ রাসেলকে ছাপিয়ে যাওয়ার কোন পরিকল্পনাই নাকি ছিল না তার।
শনিবার ঢাকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে পেয়েছিল দারুণ শুরু। সুনীল নারিনকে নিয়ে হজরতউল্লাহ জাজাই পাইয়ে দিয়েছিলেন ঝড়ো শুরু। তবে ওপেনিং জুটির পরই আবার পথ হারায় ঢাকায়। এক সময় দুশো ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত থাকলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় জেগেছিল দেড়শর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও।
সেখান থেকেই মোড় ঘোরান শুভাগত। ষষ্ঠ উইকেটে রাসেলের সঙ্গে ২৮ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন শুভাগত। অবাক করে দেওয়া ব্যাপার হলো সেই ৫৩ রানের বেশিরভাগই এসেছে শুভাগত ব্যাট থেকে।
স্বভাববিরুদ্ধ খেলে রাসেল জুটিতে করেন ১৪ বলে ১৪। সমান ১৪ বল খেলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৩৮ করেন শুভাগত। দল পায় ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ। জয় পায় ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে শুভাগত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুনাম আছে। তাই বলে রাসেলকে ছাপিয়ে যাওয়া এমন ফিনিশিং আলাদা করে নজর কেড়েছে সবার। সোমবার অনুশীলনে এসে এই অলরাউন্ডার বললেন এমন কিছুর পণ ছিল না তার, বরং চেয়েছিলেন পার্শ্ব নায়ক হতে, ‘আমার লক্ষ্য ছিল রাসেলকে স্ট্রাইক দেয়া। তো বল পেয়ে গেছি। আমারও ভালো ছিল দিনটা। সেই হিসাবে হয়ে গেছে।’
এমন ব্যাটিং আক্ষেপও কি বাড়িয়েছে শুভাগতর? জাতীয় দলে তার ভূমিকা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। তিনি নিজেকে দাবি করতেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার, কিন্তু তৎকালীন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে তাকে খেলিয়েছেন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। তাতে গড়বড় করে নিজেকে মেলে ধরা হয়নি তার। বরং উলটো সইতে হয়েছে তেতো সব সমালোচনা।
এমন ইনিংস খেলার পর নিজের মূল শক্তি নিয়ে গলা চড়াতে রাজী হলেন না। ব্যাটিংয়ে আগ্রাসী শুভাগত এসব প্রশ্নে খেললেন রক্ষণাত্মক, ‘সেটি নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমি চেষ্টা করেছি। যখন, যেখানে, যেভাবে খেলার সুযোগ পাই, চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার।’
Comments