মাশরাফির ঝাঁজ দেখল কুমিল্লা

Mashrafee Mortaza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাটসম্যানরা তুলেছিলেন ঝড়। সন্ধ্যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-রংপুর রাইডার্সের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে বড় রানের লড়াইয়ের আভাস তাই ছিল। কিন্তু কীসের কি। মাশরাফি বিন মর্তুজা বড় রানের কোন সম্ভাবনাই রাখলেন না। রংপুর রাইডার্স অধিনায়কের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ছারখার হয়ে গেছে কুমিল্লার ইনিংস।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চার-ছক্কা দেখতে এসে দর্শকরা দেখেছেন মাশরাফির পেসের ঝাঁজ। শুরু থেকে টানা চার ওভার বল করে মাত্র ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক মেডেনসহ দিয়েছেন ১৮টি ডট বল। একে একে আউট করেন তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, এভিন লুইস আর স্টিভেন স্মিথকে।

বিপিএল তো বটেই টি-টোয়েন্টিতেই এটা মাশরাফির সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে ২০১২ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বিপিএলে মাশরাফির আগের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২০১৬ সালে। সেবার খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন মাশরাফি।

এবার বিপিএলে শুরুর দুদিন দিনের ম্যাচে রান পেতে কষ্ট হচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের। শিশিরের কারণে রাতে মিলছিল বড় রানের দেখা। রংপুর-কুমিল্লার ম্যাচ সন্ধ্যায় হওয়ায় বড় রানের ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনায় ছিল এটি। দুদলেই যে আছেন টি-টোয়েন্টির আদর্শ সব ব্যাটসম্যান। আপাতত তাদের ছাপিয়ে সব আলো নিয়ে নিয়েছেন বোলার মাশরাফি।

টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাট করতে দিয়েই তেতে উঠেন রংপুর অধিনায়ক। প্রথম বলেই হালকা মুভমেন্টে তামিম ইকবালকে পরাস্ত করে সেরা ছন্দের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এরপর বারবার তামিমকে পরাস্ত করেছেন।

মাশরাফির বলে সুবিধা করতে না পেরে অস্থির হয়ে উঠেন তামিমও। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েও ফল পাননি। এই অস্থিরতাই কাবু করেছে তামিমকে। তৃতীয় ওভারে তাকে মিড অনে সহজ ক্যাচ বানান মাশরাফি।

ইমরুল কায়েস উইকেটে এসেই মাশরাফির লাফিয়ে উঠা বলে আঙুলে আঘাত পান। অস্বস্তি কাটাতে পারেননি। মাশরাফির পরের ওভারেই ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল। অনেকখানি দৌঁড়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সেই ক্যাচ হাতে জমান রবি বোপারা।

ওই ওভারেই আসে আরেক সাফল্য। বিস্ফোরক এভিন লুইস চার-ছক্কা মারতে না পেরে হাঁসফাঁস করছিলেন। মাশরাফিকে উড়াতে গিয়ে মিড অফে নাজমুল ইসলাম অপুর হাতে জমা পড়েন তিনি।

নিজের শেষ ওভারে সবচেয়ে দামি উইকেটটি নিয়েছেন মাশরাফি। কুমিল্লার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিত দলের বিপর্যয়ের সময়ে আশা দিতে পারেননি। মাশরাফি কাটার বুঝতে না পেরে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন স্মিথ।  ১৮ রান তুলতেই নেই কুমিল্লার পাঁচ উইকেট। পরে অলআউট হয়ে যায় ৬৩ রানে। ওই রান তাড়ায় ১ উইকেট হারিয়ে সহজেই জিতেছে রংপুর। 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

10h ago