খেলা-নির্বাচন-খেলা: বারবার অদলবদলেও যেভাবে চাঙা মাশরাফি

যখন নির্বাচনের ঘোষণা দেন, তখনো ঠিক সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। নির্বাচনী প্রচার চলার সময়েই হাজার সমালোচনা নিয়ে খেলেছেন ওই ওয়ানডে সিরিজে। প্রশ্ন ছিল কতটা ভালো করবেন, চ্যালেঞ্জ ছিল ঢের। তা উৎরেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন মাশরাফি মর্তুজা। এরপর নির্বাচনে তুমুল ব্যস্ততা আর জীবনের নতুন বাঁকে জিতেই ফের সরাসরি নামতে হয়েছে খেলার মাঠে। মেলেনি অনুশীলনের ফুরসতও। বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে গুঁড়িয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে এসে জানালেন বারবার এই অদলবদল তাকে কীভাবে দিচ্ছে বাড়তি শক্তিও।
Mashrafee Mortaza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

যখন নির্বাচনের ঘোষণা দেন, তখনো ঠিক সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। নির্বাচনী প্রচার চলার সময়েই হাজার সমালোচনা নিয়ে খেলেছেন ওই ওয়ানডে সিরিজে। প্রশ্ন ছিল কতটা ভালো করবেন, চ্যালেঞ্জ ছিল ঢের। তা উৎরেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন মাশরাফি মর্তুজা। এরপর নির্বাচনে তুমুল ব্যস্ততা আর জীবনের নতুন বাঁকে জিতেই ফের সরাসরি নামতে হয়েছে খেলার মাঠে। মেলেনি অনুশীলনের ফুরসতও। বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে গুঁড়িয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে এসে জানালেন বারবার এই অদলবদল তাকে কীভাবে দিচ্ছে বাড়তি শক্তিও।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা-রংপুরের হাইভোল্টেজ খেলায় দর্শকরা আশায় ছিলেন চার-ছয়ের ধামাকা দেখার। কিন্তু সেই মঞ্চ মাতিয়েছেন বোলার মাশরাফি। টানা চার ওভার বল করে ১১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন।

খেলার বাইরে এত কিছু সামলে এসেই আবার খেলায় মন দেওয়া, এই কঠিন পরিস্থিতি মানাতে নতুন কৌশল বেছে নিয়েছেন মাশরাফি। মনকে রাখছেন একাগ্র। যখন যা করছেন সেখানেই রাখছেন পুরো মনোযোগ। বারবার পালা বদলের পরও তাই এটাই নাকি তাকে যোগাচ্ছে শক্তি, ‘প্রথমত হচ্ছে, ফোকাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকদিন আগেও আমি আপনাদের সামনে এসে বলেছিলাম যে আমার ট্রানজিসন পার্টটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু আমি বেশ ফোকাসড ছিলাম। আমি যখন যেটা করছিলাম সেটাতে ফোকাস রেখেছি। সম্প্রতি আমি একটা জিনিস ভালো শিখেছি যে আমি বর্তমানে থাকতে পারি। কারণ এতো বেশি শিফটিং হয়েছে আমার জীবনে। খেলা-নির্বাচন- খেলা। এটা আমাকে শক্তি দিচ্ছে,  আমি বর্তমানে শক্ত থাকতে পারছি।’

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জিতে মাশরাফি এখন সাংসদ। ওই নির্বাচনের ব্যস্ততা পার করে ঢাকায় ফিরে বিশ্রামের সুযোগ মেলেনি। ৫ জানুয়ারিতেই প্রথম ম্যাচে নামতে হয়েছে মাঠে। শরীরের উপর দিয়ে ধকল গেছে, তবে তা মনের উপর আনতে দেননি। বরাবরের মতই বাড়তি মনোবল তরতাজা রেখেছে তাকে, ‘নড়াইল থেকে এসে দুদিন আগে (বিপিএলের দুদিন আগে)। অনুশীলনও করতে পারিনি। আমার মনে হয় মানসিকভাবে আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল। আমার ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি যে আমি ফোকাস ছিলাম যে আমার খেলতে হবে প্রথম ম্যাচ থেকে।’

ভালো পারফর্ম করলে ঠিকাছে, কিন্তু একটু খারাপ করলেই ধেয়ে আসবে তেতো কথার ঝড়। রাজনীতির মাঠে নামার পর থেকেই এমন চাপ নিয়ে খেলতে হচ্ছে তাকে। এসব ক্ষেত্রে নিজেকে নির্বিকার রাখার তরিকা নিয়ে চলার প্রস্তুতি মাশরাফির, ‘আমি তো প্রত্যেক ম্যাচে অবশ্যই পারফর্ম করতে পারবো না। আগেও বলেছি এটা আমার নিয়ন্ত্রণে না। আমি শুধু আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমি শুধু দেখব আর শুনব। আমার কাজ পারফর্ম করা। এগুলো সব সময় নিয়ন্ত্রণ থাকে না (নিন্দামন্দ) । যে বসে আছে সুযোগ নিয়ে সে হয়তো কোনো সময় সুযোগ তো পাবেই।’

Comments