‘স্মিথ-লুইসের চেয়ে তামিমের উইকেট গুরুত্বপূর্ণ’
বয়সের ব্যবধানটা প্রায় ছয় বছর। কিন্তু বন্ধুত্ব হতে তো আর বয়স লাগে না। তেমনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ওপেনার তামিম ইকবাল খুব ভালো বন্ধু। দুইজনের মধ্যে দ্বৈরথটা বেশ দারুণ। মাঠে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে চান না। তবে মাশরাফির বিপক্ষে একটু যেন বেশিই সফল তামিম। কিন্তু এদিন বিপিএলের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাঠে নেমে তামিমকে খোলসবন্দী তো রেখেছেন মাশরাফি। এমনকি তুলে নিয়েছেন তার উইকেটটাও।
আর তাতেই বেজায় খুশি মাশরাফি। অথচ এদিন ক্যারিবিয়ান বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এভিন লুইস ও সাবেক অসি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের উইকেটও পেয়েছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় দলের আরেক সতীর্থ ইমরুল কায়েসের উইকেটও। নিজেদের দিনে এরা গুড়িয়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষকে। কিন্তু ওই তামিমের উইকেটেই তৃপ্তি মিলেছে অধিনায়কের। মাশরাফির ভাষায়, ‘চার উইকেটের ভেতরে অবশ্যই তামিমের উইকেটটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। স্মিথেরটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
সংবাদ সম্মেলনে তার ব্যাখ্যাও করলেন মাশরাফি, ‘তামিম সবসময় আমাকে ভালো নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। অনেক লম্বা সময় ধরেই তামিম আমাকে ভালো খেলে আসছে। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে, ফোর ডে... যেটাই খেলেছি, ও সব সময় আমাকে ভালো নিয়ন্ত্রণ করে। স্ট্রাইক রেটও ভালো থাকে আমার বিপক্ষে। তাই উইকেটটা অবশ্যই আমার জন্য ইতিবাচক ছিল। যেহেতু ও আমার বিপক্ষে সবসময় সফল থাকে, ওর উইকেটটা নেয়ার কারণে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তারপরে স্মিথ, লুইস, ওরা কি করতে পারতে পারে আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তামিমের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
ইনিংসের প্রথম বলেই হালকা সুইংয়ে তামিমকে পরাস্ত করেছেন মাশরাফি। এরপর বারবার। সুবিধা করতে না পেরে অস্থির হয়ে উঠেন তামিম। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েও কাজ হয়নি। হাঁসফাঁশ করতে থাকায় মাশরাফির স্লোয়ার বুঝতে না পেরে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দিয়ে আসেন তামিম। তবে আত্মবিশ্বাসটা ওই প্রথম বল থেকেই পেয়েছিলেন মাশরাফি।
এরপর তার দেখানো পথে সবাই দারুণ বোলিং করেছেন বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘প্রথম বল করার পর আমার কাছে মনে হয় যে উইকেটে দ্বিগুণ পেস হওয়ার চান্স আছে। ওইখান থেকে মনে হচ্ছিল যে সঠিক লেংথে আঘাত করতে পারলে ভালো কিছু হবে এই উইকেটে। ভাগ্য ভালো আমরা যে আমরা শুরুতে উইকেট গুলো নিতে পেরেছি। খালি উইকেট পেলে তো হয় না, সঠিক লেংথে বল করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার পরে যারা এসেছে সবাই ঠিক জায়গায় বলটা করতে পেরেছে।’
এদিন শুরুতে বল হাতে নিয়ে টানা চার ওভারে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে একাই ধসিয়ে দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের টপ অর্ডার। এরপর আর ম্যাচ থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি দলটি। মূলত মাশরাফির কাছেই হেরে যায় কুমিল্লা।
Comments