সাভারে পুলিশের গুলিতে গার্মেন্টস কর্মী নিহত, দাবি পরিবারের

ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন ও মজুরি বৈষম্য কমানোসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে পরিবার ও সহকর্মীরা দাবি করেছেন।
ছবি: স্টার

ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন ও মজুরি বৈষম্য কমানোসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে পরিবার ও সহকর্মীরা দাবি করেছেন।

নিহত তৈরি পোশাক কর্মীর নাম সুমন মিয়া (২২)। তিনি শেরপুরের কালাকান্দা গ্রামের আমির আলির ছেলে। নিহতের বোন হাসি বেগম দ্য ডেইলি স্টারের সাভার প্রতিনিধিকে বলেন, সাভারের আনলিমা টেক্সটাইল লি. কারখানায় তার ভাই কাজ করতেন।

নাহিদ নামে সুমনের এক সহকর্মী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দুপুর দেড়টায় খাবার খেয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে কারখানায় ফিরছিলেন সুমন। এসময় পার্শ্ববর্তী একটি কারখানায় বিক্ষোভ চলছিল। নাহিদসহ সুমনের বেশ কয়েকজন সহকর্মী বলেন, তাদেরকে বিক্ষোভকারী ভেবে পুলিশ প্রথমে ধাওয়া করে এক পর্যায়ে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই সুমন নিহত হন। তারা লাশ নিয়ে কারখানায় গিয়ে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখানে গিয়ে আবার লাঠি ও গুলি চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

তবে ঢাকা জোন শিল্প পুলিশের সুপারিন্টেনডেন্ট, সানা শামিনুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারের সাভার প্রতিনিধিকে বলেন, আনমালিয়া টেক্সটাইল কারখানায় পুলিশের সঙ্গে গার্মেন্টস কর্মীদের সংঘর্ষ হয়নি। তার দাবি, ওই গার্মেন্টস কর্মী কীভাবে নিহত হয়েছেন তা তারা জানেন না।

“আমরা বিষয়টি তদন্ত করব”- যোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শফিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ওই এলাকায় একজন গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে এব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

নিহত সুমনের ওই সহকর্মীরাই বলেন, কারখানা থেকে সুমনকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম জানান, সমন নামের একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে পুলিশ তার লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এদিকে, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন ডাক্তার জানান, আহত ১১ জন গার্মেন্টস কর্মী তাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কোহিনুর ও সোমেজ নামের দুজনের গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago