প্রসঙ্গ: ‘বাইকে চড়ে প্রথম দিন অফিসে...’

‘বাইকে চড়ে প্রথম দিন অফিসে...’ শিরোনামে তিনটি ছবি গতকাল (৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে। এর মধ্যে দুটি ছবি একই রকমের হলেও একটি ছবিতে দেখা যায় ভিন্নতা।
৮ জানুয়ারি ২০১৯, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে চড়ে অফিসে যাচ্ছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘বাইকে চড়ে প্রথম দিন অফিসে...’ শিরোনামে তিনটি ছবি গতকাল (৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে। এর মধ্যে দুটি ছবি একই রকমের হলেও একটি ছবিতে দেখা যায় ভিন্নতা।

গত ২২ ঘণ্টায় ছবিগুলোতে ‘লাইক’ পড়েছে ৩৮ হাজারের বেশি, মন্তব্য পড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার এবং সেগুলো শেয়ার হয়েছে ২ হাজারের কাছাকাছি।

দুটি ছবির একটিতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে চড়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি রাস্তায় যানজটে আটকে রয়েছেন। সামনে থেকে নেওয়া ছবিটিতে দেখা যায় যে পলক বসেছেন চালকের পেছনে। চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও আরোহী পলকের মাথায় হেলমেট নেই।

অপর একটি ছবিটিতে দেখা যায়, চালক এবং আরোহী গন্তব্যস্থলে পৌঁছেছেন। পাশ থেকে নেওয়া ছবিটিতে হেলমেটহীন প্রতিমন্ত্রীকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যায়।

Palak
৮ জানুয়ারি ২০১৯, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে চড়ে অফিসে পৌঁছানোর পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক থেকে নেওয়া

তবে তৃতীয় ছবিতে হেলমেট পড়া একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে মহানগরীর রাস্তায় যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায়। ছবিটি পেছন থেকে নেওয়া হয়েছে বলে আরোহী ও চালকের চেহারা দেখা যায় না।

উল্লেখিত তিনটি ছবিতেই আরোহীর গায়ে রয়েছে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবির সঙ্গে মুজিব কোট। কিন্তু, প্রথম ছবি দুটিতে চালকের পোশাক এবং তৃতীয় ছবিটিতে চালকের পোশাক এক নয়।

প্রতিমন্ত্রীর সেই ছবিগুলো নিয়ে বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে। সেসব মন্তব্যে রয়েছে পলকের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের তীব্র সমালোচনা। হেলমেট ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর মোটরসাইকেল আরোহণকে আইনের প্রতি তার অশ্রদ্ধা হিসেবে দেখেছেন অনেক মন্তব্যকারী। এমনকি, প্রথম দুটি ছবিতে যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে পরের মোটরসাইকেলটি ভিন্ন- এ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অনেকেই।

একজন লিখেছেন, “যা দেখালেন মন্ত্রীসাব। তা আবার হেলমেট নাই… নাকি হেলমেট শুধু মারামারির জন্য বরাদ্দ?”

অপর একজন লিখেছেন, “ছবি দুইটা গ্যালারিতে রেখে দিলাম। যদি কোনোদিন হেলমেট ছাড়া বাইকে চড়ি আর যদি ট্রাফিক সার্জেন্ট ধরে তবে তাকে এই ছবি দুইটা দেখাবো।”

প্রতিমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে একজন লিখেছেন, “স্যার, আপনি নিজেই তো আইন মানছেন না। হেলমেট ছাড়া বাইরে বের হলে বাইকাররা পায় মামলা আর আপনি মন্ত্রী হয়ে করেন তামাশা। এসব সস্তা পাব্লিসিটি না করে আইন মেনে সবাইকে উৎসাহ দিন....!”

Palak
৮ জানুয়ারি ২০১৯, মোটরসাইকেল এবং চালক ভিন্ন উল্লেখ করে হেলমেট পড়া আরোহীর এই ছবিটি নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হয়েছে। ছবি: জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক থেকে নেওয়া

“স্কুলে যায় এমন শিশুও আজকাল মোটরসাইকেলে উঠলে হেলমেট মাথায় দেয়৷ আর আপনি মন্ত্রী হয়েও আইন অমান্য করাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মুজিব কোট গায়ে দিয়ে আইন অমান্য করে মুজিব কোট এর অপমান করলেন,” মন্তব্য অপরজনের।

মন্তব্যকারীদের কেউ আবার প্রতিমন্ত্রীর ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার জন্যে তাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তুলেছেন।

ফেসবুকে পোস্ট করা তৃতীয় ছবিটি সম্পর্কে একজনের মন্তব্য, “প্রথম, দ্বিতীয় ছবিতে ডিসকাভার দেখা যাচ্ছে কিন্তু পাবলিকের কমেন্টের ‘…’ তৃতীয় ছবির হেলমেটওয়ালা বাইকটি পালসার হয়ে গেছে..!”

এই মন্তব্যে প্রেক্ষিতে একজনের কটাক্ষ, “আচ্ছা এই যে ডিসকাভার বাইক চলতে চলতে পালসার হইছে এটা কি উন্নয়ন না? এটা আপনাদের চোখে পড়ে না? খালি যত্তসব সমালোচনা।”

আর সেসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে হয়েছে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকে। ছয় ঘণ্টা আগে এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, “তাড়াহুড়ো করে যাওয়ার জন্য আমি যে বাইকের সাহায্য নিয়েছি, তার কাছে কোনো বাড়তি হেলমেট ছিল না। আর ওটা রাইড শেয়ারিংয়ের বাইকও ছিল না, ব্যক্তিগত বাইক ছিল।”

Comments

The Daily Star  | English

Mirpur-10 metro station to reopen tomorrow

Mohammad Abdur Rouf, managing director of Dhaka Mass Transit Company Ltd, revealed the information in a press conference

2h ago