মুশফিকের টুপি খোলা অভিনন্দন
জাতীয় দলে জায়গা হয় না তাদের। কিংবা জাতীয় দলের বিবেচনা থেকে বেরিয়ে গেছেন অনেক আগেই। আর যাদের মাঝে মধ্যে সুযোগ মিলে তারাও নিয়মিত নন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এমন খেলোয়াড় আছেন অনেকেই। তাদের জন্য এ আসরে পারফর্ম করা কতটা কঠিন তা খুব ভালো করেই জানেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। তাই যারা পারফর্ম করছেন তাদের টুপি খোলা অভিনন্দন জানালেন তিনি।
এবারের আসরে শুরু থেকেই যা করার ওই বিদেশীরাই করছেন। স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে জ্বলে উঠতে পারছেন না তেমন কেউই। ফলে এখন পর্যন্ত চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বড় স্কোরের ম্যাচ দেখতে পেরেছে খুব কমই। তাতে দর্শকরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন এ আসর থেকে। তবে একেবারেই যে দুই একজন স্থানীয় খেলোয়াড় ভালো খেলছেন না, তাও নয়। ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রথম ম্যাচে নজর কেড়েছেন শুভাগত হোম। খারাপ খেলছেন না খুলনা টাইটান্সের জুনায়েদ সিদ্দিকিও। তরুণ আফিফ হোসেন এদিন চিটাগং ভাইকিংসও এদিন কার্যকরী এক ইনিংস খেলেছেন।
কিন্তু তাদের জন্য কাজটা বেশ কঠিনই ছিল। কারণ সারা বছরে ওই বিপিএল আসলেই কেবল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তারা। তার উপর এবার জাতীয় নির্বাচনের কারণে তড়িঘড়ি করেই শুরু হয়েছে এ টুর্নামেন্ট। তাই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও সুযোগ হয়নি। এমনকি হয়নি পর্যাপ্ত অনুশীলন করার সুযোগও। তার উপর বিপিএলের উইকেটও ব্যাটসম্যানদের সহায়ক নয়। তাই এমন প্রতিকূল পরিবেশে পারফর্ম করার চ্যালেঞ্জটা বুঝেই অভিনন্দন জানিয়েছেন মুশফিক।
আর নিজের কথার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন চিটাগং অধিনায়ক, ‘যারা জাতীয় দলের বাইরে আছে তাদের ভালো করাটা কঠিন। সারা বছর কিন্তু এই একটা টুর্নামেন্টই তারা খেলে। এমনকি অনুশীলন ম্যাচও খেলে না। এসেই সফল হওয়া তাদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। আমরা যারা জাতীয় দলে খেলি আমাদের সঙ্গে তুলনা করলে তো বটেই। এরপরও যারা এসেই ভালো খেলছে তারা অবিশ্বাস্য। তাদের জন্য টুপি খোলা অভিনন্দন।’
শুধু অভিনন্দন জানিয়েই শেষ করেননি মুশফিক। তাদের কাছ থেকে জাতীয় দলে থাকা খেলোয়াড়দের শিক্ষা নিতে বললেন মুশফিক, ‘আমরাও তাদের কাছ থেকে শিখতে পারি, তারা কীভাবে খেলছে। হয়ত কারো কারো হারানোরও কিছু থাকে না। আমরা অনেককে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়। আমার মনে হয় যত দিন যাবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও আরও বড় বড় ইনিংস খেলবে এবং তারাই নেতৃত্ব দেবে।’
Comments