ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচে রাজশাহীর একপেশে জয়
![Rajshahi Kings Rajshahi Kings](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/_f755681.jpg?itok=DVg1Q4AV×tamp=1547045252)
ইশুরু উদানা, মোস্তাফিজুর রহমানরা দারুণ বল করে দলকে এনে দিয়েছিলেন সহজ লক্ষ্য। মুমিনুল হক আর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দায়িত্বশীল ব্যাটিং সে লক্ষ্যকে বানিয়ে দেয় আরও ছোট। উত্তাপহীন ম্যাচে খুলনা টাইটান্সকে হারিয়ে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে রাজশাহী কিংস।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মাত্র ১১৭ রান করতে পেরেছিল খুলনা। ওই রান ৭ বল হাতে রেখে পেরিয়ে ৭ উইকেটে জিতেছে রাজশাহী। আসরে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি দলের জয়ে বড় অবদান মিরাজের।
এই নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল খুলনা। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ হেরে আসর শুরু করা রাজশাহী পেল প্রথম জয়ের দেখা।
মাথার সামনে ১১৮ রানের মামুলি লক্ষ্য। কেবল উইকেটে পড়ে থাকলেই চলত। গত কয়েক ম্যাচের উইকেটের চরিত্র অবশ্য খুব সহজ বার্তা দিচ্ছিল না। তবে সেই শঙ্কা উবেছে রাজশাহীর ঝুঁকিহীন রান তাড়ায়। উইকেটের হাবভাব পড়েনি তড়িঘড়ি ব্যাট চালায়নি তারা। ধীরস্থির খেলে নিরাপদে তীরে ভিড়িয়েছে তরি।
এমন অ্যাপ্রোচ নেওয়ায় মোহাম্মদ হাফিজকে শুরুতে হারিয়েও তাই একদম বিপদ বাড়েনি। সৌম্য সরকারের বদলে ওয়ানডাউনে নিজেকেই তুলে এনেন মিরাজ। মাথার উপর রান তাড়ার বিশাল কোন চাপ ছিল না। মুমিনুল হক আর মিরাজ তাই সময় পেয়েছেন থিতু হতে। ভালো বলগুলো বুঝেশুনে খেলে আলগা বলে লাগিয়েছেন জোর মার। তাতে রাজশাহী এগিয়েছে নিশ্চিন্তে। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে মিলে ৮৯ রানের জুটিতেই ম্যাচ শেষ করে দেন।
৪৩ বলে ৪৪ করে মুমিনুল যখন ফিরছেন ম্যাচের ফলও অনেকটা লেখাই হয়ে গেছে। মিরাজ ৪৪ বলে ৫১ রান করে একদম শেষ দিকে গিয়ে আউট হন। বাকি পথ নির্বিঘ্নে পার করেন সৌম্য।
এর আগে প্রায় ফাঁকা গ্যালারিতে বিরক্তিকর ব্যাটিংয়ের পসরা খুলে বসেছিল খুলনা। নিজেরা আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েও ধুঁকে ধুঁকে খেলে পার করেছে ইনিংস।
অথচ এদিন ভিন্ন কিছু করতেই নেমেছিলেন মাহমুদউল্লাহরা। টুর্নামেন্টের ধারাই হয়ে গিয়েছিল টস জিতলেই নাও ফিল্ডিং। খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ করলেন ভিন্ন। নিলেন ব্যাটিং। কিন্তু বদলাতে পারেননি তার দলের দশা। সেই একইরকম হতশ্রী পারফরম্যান্স এলো ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে। জুনায়েদ সিদ্দিকী আবারও ছোট এক ঝড় তুলেন, কিন্তু থিতু হয়েও আবারও বড় করতে পারেননি ইনিংস। উদানার বলে আকাশে তুলে দিয়ে ফেরেন। যদিও তার ২৩ রানই ইনিংস সর্বোচ্চ। পল স্টার্লিংও ফের ব্যর্থ। তাকে বিদায় করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
মিডল অর্ডারে থিতু হতে পারেননি জহুরুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহরা। বিপিএলে আগের আসর মাতানো আরিফুল হক এবারও পারেননি সামর্থ্যের প্রমাণ। লেগ স্পিনার কাইস আহমেদকে উড়াতে গিয়ে ফেরেন ১৬ বলে ১২ করে।
দুই বিদেশী ডেভিড মালান আর ডেভিড ভিসেও আহামরি কিছু করতে পারেননি। উল্টোদিকে উদানা, মোস্তাফিজরা উইকেটের বাও বুঝে গিয়েছিলেন বেশ। জায়গামত বল ফেলে পেয়েছেন সাফল্য। চার ওভারের কোটা পূরণ করে উদানা মাত্র ১৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ১ মেডেনসহ ডট বল দিয়েছেন ১৬টি। মোস্তাফিজ ১৮ রানে নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইটান্স: ২০ ওভারে ১১৭/৯ (স্টার্লিং ১৬, জুনায়েদ ২৩, জহুরুল ১, মাহমুদউল্লাহ , মালান ২২, আরিফুল ১২, ভিসে ১৪, তাইজুল , শরিফুল ১, শুভাশিস ০ ; সানি ১/১৯, হাফিজ ০/১৩, উদানা ৩/১৫, মোস্তাফিজ ২/১৮, কাইস ১/২৪, মিরাজ ০/১৯, সৌম্য ১/৬)
রাজশাহী কিংস: ১৮.৫ ওভারে ১১৮/৩ (হাফিজ ৬, মুমিনুল ৪৪, মিরাজ ৫১ , সৌম্য ১১*, ইভান্স ১*, ; শরিফুল ০/১১, তাইজুল ১/২২ , শুভাশিস ০/১৩, ভিসে ০/২৮, জহির ১/১৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১১, মালান ০/৬, স্টার্লিং ১/৯)
ফল: রাজশাহী ৭ উইকেটে জয়ী।
Comments