রাজশাহীকে হারিয়ে জয়ের ধারায় কুমিল্লা

ব্যাটিং স্বর্গে রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানরা থাকলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। তাতে মিলে ১২৪ রানের সাদামাটা স্কোর। সে লক্ষ্য উতরাতে দারুণ সূচনার পর বেশ ভুগতে হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। তবে শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট খুইয়ে পাড়ি জমায় জয়ের বন্দরে। ফলে এক ম্যাচ পরই আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসে টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

ব্যাটিং স্বর্গে রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানরা থাকলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। তাতে মিলে ১২৪ রানের সাদামাটা স্কোর। সে লক্ষ্য উতরাতে দারুণ  সূচনার পর বেশ ভুগতে হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। তবে শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট খুইয়ে পাড়ি জমায় জয়ের বন্দরে। ফলে এক ম্যাচ পরই আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসে টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

 

১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই কিছুটা চমক দেয় কুমিল্লা। নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল এদিন খেলতে নামেন তিন নম্বরে। তার জায়গায় ওপেনিং করেন এনামুল হক বিজয়। আর সুযোগ পেয়ে তা দারুণ ভাবেই কাজে লাগান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এভিন লুইসের ৬৫ রানের দারুণ ওপেনিং জুটি উপহার দেন তিনি। এরপর দ্রুত ৫ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ৮ বল বাকী থাকতে ৫ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। ইনিংসটি হতে পারতো আরও লম্বা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়েছেন তিনি। উদানার বলে সোজা ব্যাট চালিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু উদানার গায়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। সে সময় ক্রিজের বাইরে থাকায় রানআউট হন এ ওপেনার। এছাড়া লুইস ২৮ ও তামিম ২১ রানের ইনিংস খেলেন।

ঘণ্টা খানেক আগেও ধুম ধাড়াক্কা চার ছক্কার এক ম্যাচ হয়ে গেল মিরপুরে। যেখানে এক পক্ষ করেছে ১৮৩ রান। অপর পক্ষ সে লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২ রানে হারে। সেই একই উইকেটে রান তুলতে ঘাম ছুটে গেল রাজশাহী কিংসের। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে দলটি। দলীয় ২০ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা।

তবে তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে ৩৭ রানের একটি জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর গড়ে ওঠেনি আর কোন জুটি। শঙ্কা জেগেছিল একশ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে শ্রীলঙ্কান তারকা ইশুরু উদানার একক লড়াইয়ে সাদামাটা স্কোর পায় দল।

আগের দিন উন্নতি পেয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ জেতানো দারুণ এক ফিফটি করেছিলেন মিরাজ। এদিন আরেক ধাপ এগিয়ে অর্থাৎ নামলেন ওপেনিংয়ে। খুব খারাপও করেননি অধিনায়ক। ১৭ বলে ৬টি চারের সাহায্যে খেলেছেন ৩০ রানের ইনিংস। আর শেষ দিকে ৩০ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ রান করেন উদানা। যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। এছাড়া ২৬ বলে ২৭ রান করেন জাকির হাসান।

কুমিল্লার পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন শহীদ আফ্রিদি। এছাড়া আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও লিয়াম ডসন ২টি করে উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজশাহী কিংস: ১৮.৫ ওভারে ১২৪ (মুমিনুল ৩, মিরাজ ৩০, সৌম্য ০, হাফিজ ১৬, জাকির ২৭, ইভান্স ০, ফজলে ৩, কায়েস ০, উদানা ৩২, সানি ৪, মোস্তাফিজ ১*; রনি ২/৩৭, মেহেদী ০/২২, সাইফউদ্দিন ২/২৫, শহীদ ০/১২, ডসন ২/১৭, আফ্রিদি ৩/১০)।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৮.৪ ওভারে ১৩০ (বিজয় ৪০, লুইস ২৮, তামিম ২১, ইমরুল ৬, মালিক ২, আফ্রিদি ৯*, ডসন ১২*; মিরাজ ১/৩৩, হাফিজ ০/২০, সানি ০/৭, কায়েস ১/২১, মোস্তাফিজ ১/২৪, উদানা ০/২০)।

ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৫ উইকেটে জয়ী।

 

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Muhammad Yunus

Chief Adviser Yunus's UNGA trip a critical turning point

Now is the best chance for Bangladesh to strengthen international cooperation.

12h ago