কোপআপের কিছু নেই, কোপাও অপশনে যেতে হবে: মাহমুদউল্লাহ

Mahmudullah
ফ্রাইলিঙ্কের বলে কুপোকাত মাহমুদউল্লাহ। ফ্রাইলিঙ্কের কাছে ম্যাচও হেরেছেন তারা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টানা তিন হারের পর এমনিতেই দলের অবস্থা ছিল তলানিতে। মাহমুদউল্লাহরা চাইছিলেন যেকোনভাবেই একটা জয়। কিন্তু খুব কাছে গিয়েও সেটা হয়নি। ১৫১ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে বোলাররা হতাশায় পুড়িয়েছেন অধিনায়ককে, ব্যাটসম্যানরা পারেননি ঝড় তুলতে। ঠাণ্ডা মেজাজের মাহমুদউল্লাহকেও তাই দেখা গেছে রাগতে। সুপার ওভারের রোমাঞ্চে হারার পর মাহমুদউল্লাহর কথায় কেবল ঝরেছে হতাশা।

পুরো ম্যাচে দু’দুবার সুযোগ একেবারে হাতের মুঠোয় এসেছিল খুলনা টাইটান্সের। জেতার পাল্লা হেলেছিল তাদের দিকেই। কিন্তু দুবারই সুযোগ হারায় তারা। প্রথমবার শেষ ওভারে চিটাগাং ভাইকিংসের দরকার ছিল ১৯ রান। আরিফুল হক তিন ছক্কা খেয়ে ১৮ রান দিয়ে দিলে ম্যাচ হয়ে যাই টাই।

সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ১১ রান করেছিল ভাইকিংস। ওই রান তাড়ায় দুই বিদেশী কার্লোস ব্র্যাথওয়েট আর ডেভিড মালানকে পাঠিয়েছিল খুলনা। এর আগে সুপার ওভারটিও করেন আরেক বিদেশি জুনায়েদ খান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মলিন মুখেই ফিরতে হয়েছে তাদের।

মাহমদুউল্লাহ নিজে না নেমে বিদেশীদের প্রতি ভরসা রেখেছিলেন বাঁচা মরার হিসেব করে। তার মতে ওই সময় আর মানিয়ে নেওয়ার কিছু ছিল না, ‘এটা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয় (বিদেশীদের নামানো)। আমার কাছে মনে হয়েছে স্টার্লিং  অফসাইডে খুব ভালো, মালানও শক্তিশালী। আমরা সবাই ব্র্যাথওয়েটের ব্যাপারে জানি। সবকিছু মিলিয়ে তাদের নির্বাচন করা হয়েছে। তিন নম্বরে আমিও যেতে পারতাম। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে স্টার্লিং বেশি ভালো। এই কারণে এই তিন অপশনে আমরা গিয়েছিলাম। কোপআপের কথা বললে সুপার ওভারের কথা বললে এখানো কোপআপের কিছু নেই। এখানে কোপাও অপশনে যেতে হবে।’

মাহমুদউল্লাহর দল পরিস্থিতির সঙ্গে কোপআপ করতে পারেনি, পারেনি টি-টোয়েন্টির রগরগে ‘কোপাও’ (ঝড়) তুলতেও।  কিন্তু ঝড়টা থামিয়ে তো জিততে পারতেন। সেখানেও ব্যর্থ তারা। বিশেষ করে শেষ ওভারে কেন মাহমুদউল্লাহ নিজে না এসে আরিফুলের হাতে বল তুলে দিলেন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘ওই সময় অফস্পিনটা হয়তোবা একটু কঠিন হতো। শেষ ওভারে ১৯ রান, আমি ভাবলাম আরিফ ভালো অপশন। ও হয়তো ওয়াইড ইয়র্কার করবে! কিন্তু হয়নি দুর্ভাগ্যবশত।’

‘দুইটা সময় আমাদের ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। টানা তিনটি ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর আজকে ভালো একটি সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা দুইবারই সুযোগটা হারালাম। সুপার ওভারে ১১ রান বড় কোন লক্ষ্য না। এটা চেজঅ্যাবল। আমরা করতে পারেনি।’

Comments

The Daily Star  | English
Eid-ul-Azha 2025

Main Eid congregation held at National Eidgah

With due religious solemnity and fervour, the main congregation of Eid-ul-Azha was held at the National Eidgah.

1h ago