কোলে করেই যেন ভাইকিংসকে টানছেন ফ্রাইলিঙ্ক

সুপার ওভারের রোমাঞ্চে মাত্রই তখন ম্যাচ জিতেছে চিটাগাং ভাইকিংস। বোলার রবি ফ্রাইলিঙ্কক ১১ রান ডিফেন্ড করে দুহাত উঁচিয়ে উল্লাসরত। এর আগে ব্যাট হাতেও মূল কাজটা করে রেখেছিলেন তিনিই। জয়ের এই নায়ককে ছুঁতে দৌড়ে জড়ো হন ভাইকিংস ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম তো আনন্দে উঠে পড়েন তার কোলেই। ছবিটা প্রতীকীও হয়ে থাকল। আসরে তিন ম্যাচের মধ্যে ভাইকিংসের জেতা দুই ম্যাচই নায়ক এই ফ্রাইলিঙ্ক
Chittagong Vikings
ম্যাচ জেতানো ফ্রাইলিঙ্কের কোলে মুশফিক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সুপার ওভারের রোমাঞ্চে মাত্রই তখন ম্যাচ জিতেছে চিটাগাং ভাইকিংস। বোলার রবি ফ্রাইলিঙ্কক ১১ রান ডিফেন্ড করে দুহাত উঁচিয়ে উল্লাসরত। এর আগে ব্যাট হাতেও মূল কাজটা করে রেখেছিলেন তিনিই। জয়ের এই নায়ককে ছুঁতে দৌড়ে জড়ো হন ভাইকিংস ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম তো আনন্দে উঠে পড়েন তার কোলেই। ছবিটা প্রতীকীও হয়ে থাকল। আসরে তিন ম্যাচের মধ্যে ভাইকিংসের জেতা দুই ম্যাচই নায়ক এই ফ্রাইলিঙ্ক।

এই ম্যাচেই যেমন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাট বলে সমান ভূমিকা রাখলেন এই প্রোটিয়া। শেষ ওভারে দলের জিততে দরকার ছিল ১৯। দুই ছক্কায় ১৮ নিয়ে ম্যাচ করলেন টাই। পরে সুপার ওভারে ব্যাট হাতে ৪ রান করলেও ১১ রান আটকাতে দারুণ কার্যকর বোলিং করে হিরো তিনি।

ম্যাচ শেষে বললেন জীবনে প্রথমবার সুপার ওভার করতে গিয়ে কীভাবে সফল হয়েছেন,  ‘এটা কঠিন ছিল। দেখেন এটা আমার প্রথম সুপার ওভারে বল করা আর ১১ রানও খুব বেশি ছিল না। এটা আটকাতে আমি আমার নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছি। মালান যখন চার মারে তখন একটু নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিলাম, পরে সামলে নেই। যখন আপনি এই ধরনের পরিস্থিতিতে বল বা ব্যাট করবেন নির্ভার থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা উচিত।’

তবে ফ্র্যাইলিঙ্ক মনে করেন সুপার ওভারে যাওয়ার দরকারই হতো না যদি না আম্পায়ারের কাছ থেকে তারা ন্যায্য বিচার পেতেন। আরিফুলের করা শেষ ওভারে দুই ছক্কা মেরেছিলেন ফ্রাইলিঙ্ক। শেষেরটি ছিল কোমরের উপরে ফুলটস। ছক্কা পাঠিয়ে বিমারের আবেদন করেছিলেন তিনি। আম্পায়ার তা দেননি। পরের বলে এক রান নিতে পারেননি তিনিও। ফলে ম্যাচ হয়ে যায় টাই। ওই নো বলটা হলে আর ম্যাচ তখনই শেষ হয়ে যায়,  ‘আমি এখনো মনে করি ওটা নো বল ছিল। কিন্তু আমরা সেটা পাইনি। ওটা আমি লাগাতে না পারায় খেলা সুপার ওভারে গেল।’

টানটান উত্তেজনার পর জিতেছে তার দল। তবু ফ্রাইলিঙ্কে ম্যাচ হিসেবে এটাকে রাখছেন উপরে, ‘দুর্দান্ত এক ম্যাচ। দুর্ভাগ্যবশত এমন খেলায় কাউকে হারতে হয়। প্রথম দুই ওভারে ৩০ রান দেওয়ার পরও আমরা খেলায় ফেরত এসেছি এবং এক পর্যায়ে ১৮ ওভারে ওদের ১২২ এর মতো রেখেছি। বোলাররা সবাই ভালো করেছে। নাঈম দারুণ বল করেছে। দুই পেসার রাহি আর খালেদও চমৎকার করেছে। ১৫০ রান, তাড়া করার জন্য সহজ স্কোর ছিল। শুরুটা ভাল হয়নি কিন্তু পরে জুটি হয়েছে।’

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago