যে মন্ত্রে জ্বলে ওঠেন মোস্তাফিজ
দল যখন জয় পেল তখন দৌড়ে এসে মোস্তাফিজুর রহমানের কাঁধে উঠে গেলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। পুরো ম্যাচের প্রতীকী ছবি যেন এটাই। শেষ ওভারের গুরু দায়িত্বটা কাঁধে নিয়ে পুরো দলকে এনে দিলেন রোমাঞ্চকর এক জয়।
রংপুর রাইডার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল এক ওভারে মাত্র ৯ রানের। জাদুকরী বোলিংয়ে উল্টো রাজশাহী কিংস ম্যাচ জিতে নিল ৫ রানে। কিন্তু তখনও উইকেটে ছিলেন দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান। একজন তো উইকেটে সেট ছিলেন লম্বা সময়ে ধরে। এমন কঠিন কাজটা করলেন বেশ সহজেই। কি এমন মন্ত্রে জ্বলে উঠলেন কাটার মাস্টার?
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ যখন মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দিচ্ছিলেন তখন কিছু একটা পরামর্শ দিচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ হাফিজও। তারাও যে কিছু বলছিলেন তা বোঝা গেল স্পষ্ট। অধিনায়ক হওয়ায় কিছু পরামর্শ দেওয়াটাই স্বাভাবিক মিরাজের জন্য। কিন্তু কোন পরামর্শই দেননি অধিনায়ক। মোস্তাফিজকে নিজের মতোই বোলিং করতে বলেছিলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানালেন এমনটাই, ‘মোস্তাফিজকে আমি একটা কথাই বলার চেষ্টা করেছি, আমার কথা, সৌম্য সরকার ভাইয়ের কথা কিংবা হাফিজ ভাইয়ের কথাও শোনার দরকার নেই! আমরা ওকে ওর মতো বোলিং করতে সহায়তা করেছি এ কারণে ম্যাচটা জিততে পেরেছি। জানি মোস্তাফিজ কী ধরনের বোলার আর কি ধরনের মানুষ।’
‘ও যদি নিজের পরিকল্পনায় ভালো বোলিং করে তবে ভালো করে। তিনজনের কথা যখন মাথায় নেবে নিজেরটা করতে পারবে না। বলেছি। তুই ফিল্ড সেটআপ করে, তোর মতো বোলিং কর। সৌম্য ভাইও একই কথা বলেছে। কিন্তু হাফিজ ভাই বিভিন্ন রকম কথা বলছিল। আমি আর সৌম্য ভাই বলছিলাম না, তুই তোর মতো কর। ও নিজের মতো বোলিং করলে ভালো করে।’ – যোগ করে আরও বলেন মিরাজ।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল রাজশাহী। এমনকি শেষ ওভারের আগ পর্যন্তও ম্যাচ ছিল রংপুরের হাতে। শেষ ওভারেই ম্যাচ বদলে দেন মোস্তাফিজ। তবে বিশ্বাস ঠিকই ছিল মিরাজের, ‘আমাদের শুরু থেকেই বিশ্বাস ছিল কারণ, আমরা যে বোলিং বিভাগটা অনেক ভালো। বিশ্বাস ছিল আমাদের যে বোলার আছে মোস্তাফিজ-উদানা ওরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। আমি ছিলাম, হাফিজ ভাই ছিল। সানি ভাইও ছিল। বিশ্বাসটা প্রথম থেকেই ছিল।’
তবে মোস্তাফিজের কাছে এমন জাদুকরী বোলিং বিস্ময়কর কিছু নয়। এর আগে অনেকবারই এমন পরিস্থিতি থেকে দলকে জিতিয়েছেন কাটার মাস্টার। তাই কি করতে হতো তা ভালো করেই জানতেন তিনি। আর তা করেও দেখিয়েছেন এ তরুণ পেসার।
Comments