সিলেটে এদিন ডিআরএসই ছিল না
পাড়ার ক্রিকেটে যেমন হরহামেশা নিয়মের পরিবর্তন হয় তেমনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) যে হয় তা অনেকবারই দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। তবে মঙ্গলবার সিলেটে হলো আরও একটি। চলতি আসরে প্রথমবারের মতো ডিআরএস সিস্টেম চালু থাকলেও ছিল না এদিন। আর এর কারণটাও অদ্ভুত। কাস্টমসের ধর্মঘটে আটকা পড়ে সিলেটে ডিআরএসের যন্ত্রপাতি সময় মতো পৌঁছাতেই পারেনি।
সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে এদিন নিজের আউট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার তামিম ইকবাল। এমনকি তাতে কিছুটা উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। শুধু তামিম নয় দিনের প্রথম ম্যাচেও বেশ কিছু আউটের সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বিতর্ক ছিল। কিন্তু ডিআরএস নিতে দেখা যায়নি কাউকেই। তখন অনেকের মনেই ছিল সন্দেহ। কেন রিভিউ নিচ্ছেন না তারা। এমন প্রশ্নে কুমিল্লার ওপেনার জানান, এদিন ডিআরএস ছিলই না।
তবে মাঝ পথে হুট করে ডিআরএস না থাকাটা কতটা যৌক্তিক জানতে চাইলে, বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তামিম, ‘এখন ডিআরএস নেই আমি কি বলব। আমি এখন কথা বললে আবার ব্যাটিং করতে দিবে না। উনারা ভেবেছে আউট ছিল। আমার কোন অভিযোগ নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমার পক্ষে যাবে, আমার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিপক্ষে যাবে।’
বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য সচীব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ডিআরএসের দুই সেট যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করেছিলেন তারা। এক সেট কেবল ঢাকার জন্য। সিলেট ও চট্টগ্রামের জন্য যে সেট আনা হয়েছিল তা কাস্টমসকে আটকা পড়েছিল ধর্মঘটের কারণে। দেরি হয় সেকারণেই। তাই সব যন্ত্রপাতি সিলেটে এসে পৌঁছায়নি বলেই ডিআরএস ছিল না এদিন। তবে আগামীকাল থেকেই আবার এ সুবিধা পাওয়া যেতে পারেও বলেও জানান তিনি।
অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে কদিন আগেই বেশ লম্বা চওড়া কথা শুনিয়ে গেছেন বিপিএল গভর্নিং কমিটির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। আসরের মাঝে হুট করে ডিআরএস না থাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা আগে জানালেনও না তারা।
এবারের আসরে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক হয়ে যাচ্ছে। শুরুতে ডিআরএস ছিল আলট্রা এজ ছাড়া। তাতে ছড়িয়েছে নানা বিতর্ক। এরপর প্রোডাকশনে নামে ভুল, বয়সে ভুল, এমনকি স্কোরিংয়েও ভুল। বরাবরের মতো ধারাভাষ্যও সমালোচনা তো ছিলই। এতো কিছুর পরও সন্তুষ্ট বিসিবি।
Comments