কোন সমস্যা নেই তবু রান পাচ্ছেন না শান্ত
অনুশীলনে নিবেদনের কমতি নেই। নেটে কোচদের মন জেতার জন্য টেকনিক্যাল মুন্সিয়ানার জারিজুরিও বিস্তর। তাকে দেখে প্রতিশ্রুতিশীল বলে অনায়াসে রায় দেন কোচরা। কিন্তু মূল কাজ যা, ম্যাচে রান করা। সেখানেই সব উলটপালট নাজমুল হোসেন শান্তর। জাতীয় দলের নির্বাচক ও খুলনা টাইটান্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হাবিবুল বাশার সুমন টানা ব্যর্থতার পরও এই তরুণকে আশাবাদী হতে চান।
আঁটসাঁটও টেকনিক, ভালো ফিটনেস, দৃঢ় মনোবল এমন সব বিশেষণ পেয়ে ধাপে ধাপে এগুচ্ছিলেন শান্ত। জাতীয় দলে খেলার আগে বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে দেশের ক্রিকেটের সবগুলো ধাপ পেরিয়েছেন। পোক্ত হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটেই যা বেশ বিরল। কিন্তু যতটা নামডাক ছিল মাঠে নেমে তার ছিটেফোঁটায় ছাপ রাখতে পারেননি।
দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডের ক্যারিয়ার জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর এগোয়নি। একই দশা বিপিএলেও। খুলনা টাইটান্সের গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়েও দিতে পারছেন না সামর্থ্যের প্রমাণ। এই নিয়ে চার ম্যাচ ব্যাট করে মোট ৩২ রান (১, ১৩, ৬, ১১) করতে পেরেছেন। গড়টা মাত্র ৭.৭৫।
এমন অবস্থার পর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেসব প্রশ্নের জবাব দিতে হাবিবুল খুঁজে পাচ্ছেন না কোন সমস্যাই, 'সে রান করছে না সেটাই, আর কিছু না। আমার মনে হয় সে সবকিছুই পারফেক্ট করে। আমরা যখন অনুশীলন করি তখন সবকিছু সে ঠিকমতো করে, যার জন্য সব কোচরাই ওকে নিয়ে কথা বলে থাকেন। যে কোচই আসুক না কেন সবার আগে শান্তকে নিয়েই বলেন যে সে একজন প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার।’
তবে ওই প্রতিশ্রুতিশীল তকমা পূঁজি করেই তো ক্যারিয়ার টানা যায় না। ব্যাটে চাই রান। সেটা উপলব্ধি করেও এখনো তাকে নিয়ে নিরাশ হতে চান না হাবিবুল, ‘তবে ওকে রান করতে হবে। আপনি যতই প্রতিশ্রুতিশীল হন, তবে ম্যাচে যদি রান না করেন তাহলে সবার জন্যই মুশকিল। ওকে আমরা সুযোগ দিচ্ছি। আশা করছি অবশ্যই ও রান করবে। কারণ ওর কোনও কিছু নিয়েই সমস্যা নেই, শুরু রান করা ছাড়া। আশা করছি সে রান করা শুরু করবে।'
Comments