হঠাৎ ‘ডানহাতি’ হয়ে চমকে দিলেন ওয়ার্নার
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকায় অফ স্পিনাররা সুবিধা পাবেন। ঝড় তোলা ডেভিড ওয়ার্নারকে থামাতে এই বিবেচনায় ক্রিস গেইলকে নিয়ে এসেছিলেন মাশরাফি মর্তুজা। স্লগ ওভারের বিচারে খারাপ করছিলেন না গেইলও। সেই ভাবনার জবাব দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে তাক লাগিয়ে দেন ওয়ার্নার। গেইলকে পেটাতে তাই চট করে বামহাতি থেকে ডানহাতি বনে যান তিনি। সবাইকে বিস্মিত করে গার্ড নিলেন ডানহাতে,স্টান্স নেন ডানহাতি হিসেবেই। ১৯তম ওভারের শেষ তিন বলই খেলেন ডানহাতেই। তিন বলেই মেরেছেন এক ছক্কা আর দুই চার।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে ২ রান নিয়েছিলেন বাঁহাতি ওয়ার্নার, পরের দুই বলে চেষ্টা করেও বের করতে পারেননি রান। ওয়ার্নারের মাথায় তখন চট করে খেলে গেল ভিন্ন ভাবনা। পরের বলেই নিজেকে বানিয়ে ফেললেন পাক্কা ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল পেয়েছিলেন ব্যাটের সামনে, গায়ের জোরে সোজা পাঠিয়ে দেন সীমানার বাইরে- ছক্কা। ছক্কা মারার পর কোমর দুলিয়ে নেচে দিয়েছেন বিনোদনও। এরপরের বলে ফুলটস পেয়ে ক্ষণিকের জন্য ‘ডানহাতি’ ওয়ার্নার প্যাডল সুইপে পার করেন সীমানা- চার। পরের বলে আবার চার। এবার ‘ডানহাতি’ ওয়ার্নার রিভার্স সুইপে পার করেন বাউন্ডারি লাইন।
ম্যাচে কখনো না করলেও অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে মজা করে মিনিট দশেক ডান হাতে ব্যাট করার উদাহরণ আছে ওয়ার্নারের। অনুশীলন সেসব ভিডিও আছে অনলাইনেও। তাতে দেখা যায় ডানহাতেও বেশ পারদর্শী এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
বিপিএল সিলেট আসার পর ওয়ার্নারের চমক দেওয়া এই ম্যাচে এই ম্যাচে দর্শকরাও বিনোদন পেয়েছেন ঢের। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া সিলেট সিক্সার্সের ইনিংস রাঙিয়েছেন লিটন দাস আর ওয়ার্নার। সাব্বির রহমানকে নিয়ে ইনিংস ওপেন করা লিটনই তুলেন শুরুর ঝড়। ৮.৩ ওভার স্থায়ী ওপেনিং জুটিতেই আসে ৭৩ রান। ২০ রান করে সাব্বির ফিরলেও লিটন ওয়ার্নারকে নিয়েও চালিয়ে যান। দুজনের জুটিতে আসে আরও ৫৬ রান।
সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে দারুণ খেলতে থাকা লিটন দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে কাটা পড়েন। ৪৩ বলের ইনিংসে ৯ চার আর ১ ছক্কায় লিটন করেন ৭০। ৩৬ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ৬১ করে অপরাজিত থাকেন সিক্সার্স অধিনায়ক ওয়ার্নার। ২০ ওভার খেলে সিলেট করে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান। পরে রংপুরকে ১৬০ রানে থামিয়ে ম্যাচও জিতে তারা।
Comments