টিআইবি রিপোর্টে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লেগেছে: রিজভী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সরকার সব জায়গায় নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এই নিয়ন্ত্রণ ভেদ করে টিআইবি রিপোর্টে ভোট ডাকাতির মহাসত্য প্রকাশ হওয়াতে সরকারের মন্ত্রীরা ও নির্বাচন কমিশন মুখ লুকাতে পারছে না।”
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
রিজভী বলেন, সত্য লুকানোর চেষ্টা করলেও কোন লাভ নেই। মানুষ যা জানার নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকেই জেনেছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন সংগঠন নির্বাচনে মহাভোট ডাকাতি নিয়ে প্রতিবেদন, মন্তব্য ইত্যাদি করেছে। বিশ্বের নানা গণতান্ত্রিক দেশ বলেছে-এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এই ভুয়া ভোটের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তদন্ত দাবি করেছে।
গত মঙ্গলবার টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তাদের গবেষণার আওতায় থাকা ৫০টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে তারা ৪৭টি আসনেই তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন। 'একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা' শীর্ষক এই প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সমর্থ হয়নি। সেই সঙ্গে নির্বচনকে “অংশগ্রহণমূলক” বললেও “প্রতিযোগিতামূলক” মানছে না টিআইবি।
আরও পড়ুন: [পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ] নির্বাচনে ৫০ আসনের মধ্যে ৪৭টিতে অনিয়ম হয়েছে: টিআইবি
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও সুপারিশ করা হয়ে প্রতিবেদনে।
টিআইবির এই প্রতিবেদন ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যান করার কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত দুজন মন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, “টিআইবি অলীক গল্প সাজিয়েছে।”
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ টিআইবির প্রতিবেদনকে “একপেশে, মনগড়া ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট” বলে মন্তব্য করেছেন। আর সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, “নির্বাচন নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন ভিত্তিহীন।”
Comments