ইসরায়েলি নাগরিকরা মালয়েশিয়ায় আসতে পারবে না: মাহাথির

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ জোর দিয়ে বলেছেন যে, কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ইসরায়েলি নাগরিকরা মালয়েশিয়ায় আসতে পারবে না।
Dr. Mahathir Mohammad
ড. মাহাথির মোহাম্মদ। ছবি: দ্য স্টার অনলাইন/এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ জোর দিয়ে বলেছেন যে, কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ইসরায়েলি নাগরিকরা মালয়েশিয়ায় আসতে পারবে না।

তিনি বলেন, “কিছু মানুষের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখার অধিকার মালয়েশিয়ার রয়েছে, বিশেষত যারা নানাভাবে অন্যায় কাজ করে যাচ্ছে। আজকে অনেকেই লক্ষ্য করছে যে, তাদের দেশে বিদেশিরা প্রবেশ করছে এবং এ কারণে তারা খুব একটা খুশি নয়। অভিবাসীদের প্রবেশাধিকারের সুযোগ করে দেওয়ায় তারা তাদের সরকারকে পর্যন্ত উৎখাত করতে চায়।”

লন্ডনের অক্সফোর্ড ইউনিয়নের সংলাপে তিনি বলেন, “অতএব, কিছু মানুষের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখার অধিকার একটি দেশের রয়েছে, যে কারণেই সেখানে সীমান্ত বিরাজমান। ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং আমরা লক্ষ্য করছি যে তারা বহু অন্যায় কাজ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। কারণ- তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না কেউ।” অনুষ্ঠানটি শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সম্প্রচার মাধ্যম অ্যাস্ট্রো আওয়ানিতে সরাসরি প্রচারিত হয়।

আগামী জুলাই মাসে সারাওয়াকে অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ার্ল্ড প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল উইলকিনসনের প্রশ্নের জবাবে মাহাথির এসব কথা বলেন।

ওই সংলাপের ভিডিওটি পরবর্তীতে মাহাথিরের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয়।

বিশ্বের ৭০টি দেশের সাঁতারুরা আগামী ২৯ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া, আগামী বছর টোকিও প্যারা অলিম্পিকসের আগে এটিই ক্রীড়াবিদদের জন্য সবচেয়ে বড় আয়োজন।

ইসরায়েলের সরকারকে বাদ দিয়ে সেদেশের নাগরিকদের দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক কী না জিজ্ঞেস করা হলে মাহাথির বলেন, “বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিকই তাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে সমর্থন করে।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে আমরা খুব একটা কিছু করতে পারি না। কারণ- তারা খুব ক্ষমতাবান। আমরা ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে না পারি, তাই বলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ তো আর করতে পারি না।”                                                        

ড. মাহাথির মনে করেন না যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার বক্তব্য ইহুদীবিরোধীতার দিকে ধাবিত হয়েছে। বরং ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু বলার অধিকার থেকে তিনি এসব বলেছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, “আমি এটা বুঝতে পারছি না। আমরা বাক স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলি কিন্তু এখন পর্যন্ত কেনো আপনি ইসরায়েল ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেন না? আমরা যা পছন্দ করি, তা বলার যদি অধিকার আমাদেরে থেকেই থাকে, তাহলে আমরা তা বলবো। কিন্তু, আমাদের সে কথাগুলোকে তো ইহুদীরা তাদের নিজেদের বিরুদ্ধে মত বলে বিবেচনা করছে।”

মাহাথির বলেন, “তাদেরও অধিকার আছে আমার বিরুদ্ধে মতামত দেওয়ার। এ কারণেই তারা যে বহু অন্যায় কাজ করছে তা বলাও আমার অধিকারের আওতায় পড়ে।”

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus’ economic gambit paying off

Two months ago, as Professor Muhammad Yunus waded into Bangladesh’s unprecedented political turmoil, he inherited economic chaos by default.

6h ago