সুবর্ণচরের ঘটনার রেশ না কাটতেই নোয়াখালীতে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ

rape logo
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সুবর্ণচরের গণধর্ষণের সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নোয়াখালীতে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবারের ঘটনা কবিরহাট উপজেলায়।

পুলিশের কাছে তিন সন্তানের জননীর (২৯) অভিযোগ, শুক্রবার দিবাগত রাতে কয়েকজন ব্যক্তি সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সন্তানদের জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করেছে।

এ ঘটনায় জাকির হোসেন জহির (২৯) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযোগকারী নারী জানান, গভীর রাতে সিঁদ কেটে সাত জন লোক ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। স্বামী জেলে রয়েছেন জানিয়ে তাদের চলে যেতে বললে তারা সন্তানদের গলায় চুরি ধরে তাকে বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ধর্ষণের অভিযোগকারী নারী নিজে জাকির হোসেন জহিরকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক দাবি করলে এ ব্যাপারে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক রায়হান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া জহিরে সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, “আমি থানায় গিয়ে ওসিকে বলে এসেছি ধর্ষকের যেন উপযুক্ত বিচার হয়।”

ধর্ষণের অভিযোগকারী নারীর স্বামী আবুল হোসেনকে ২৩ ডিসেম্বর পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছেন। কবিরহাট থানার ওসি মির্জা মো. হাছান জানান, তার নামে একটি বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ বলেন, “আবুল হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রী হলেও তিনি ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। এ জন্য পুলিশ তাকে ভোটের আগে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে প্রেরণ করেছে।”

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম বলেন, “ধর্ষিতাকে বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।”

কবিরহাট থানার ওসি মো. হাছান ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূ শনিবার দুপুরে সশরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জাকিরকে আটক করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য অভিযুক্তদেরকে আটকে অভিযান চলছে।

তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য ধর্ষিতাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা বাদী হয়ে জহিরসহ আরও অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।”

 

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

16h ago