‘প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে সাতবার আউট হতে পারতাম’

Rilee Rossouw
বারবার জীবন পাওয়া রুশোই রংপুরের জয়ের নায়ক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৯৪ রান তাড়া করে জিততে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ক্রিজে গিয়েছিলেন রাইলি রুশো। প্রথম পাঁচ ওভারে তার অবস্থা ছিল নড়বড়ে। দিচ্ছিলেন একের পর এক সুযোগ। কখনো ক্যাচ, কখনো রান আউট। সিলেট সিক্সার্স নষ্ট করে সবগুলো সুযোগই। ফলাফল যা হওয়ার তাই। ৩৫ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রুশোই গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের গতিপথ। এবারের আসরে নিয়মিত রান পাওয়া রুশো

সাব্বির রহমানের ৮৫ রানে আগে ব্যাটিং পেয়ে সিলেট করেছিল ১৯৪ রান। সেই রান তাড়ায় শুরুতেই গেইলকে হারায় রংপুর। ওয়ানডাউনে নেমে অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে যোগ দেন রুশো।

নেমেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে পারতেন। তাসকিন আহমেদের বলে ১ রানে উইকেটের পেছনে দিয়েছিলেন সহজ ক্যাচ। উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিক তা জমাতে পারেননি হাতে। ১২ রানে গিয়ে আবার ভাগ্য দুহাত মেলে ধরে রুশোর সামনে। এবার লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিছানের বলে রুশোর ক্যাচ ছাড়েন উইকেটকিপার অনিক।

সহজ দুই ক্যাচ ছাড়ায় সিক্সার্সের বদলে দেয় উইকেটকিপার। কিপিং করতে আসেন লিটন দাস। কিন্তু ১৬ রানে এবার আউট থেকে বেছে যান তিনি। রুশোর জীবন পাওয়ার শেষ নয় এখানেই। ২০ রানে তাসকিন আবার তাকে ফেরানোর সুযোগ তৈরি করেছিলেন। মিড অনে একদম সহজ ক্যাচ ছেড়ে বাউন্ডারি বানিয়ে দেন নিকোলাস পুরান।

বারবার জীবন পেয়ে যখন তাসকিনের বলেই লিটনের হাতে জমা পড়ে যখন ফিরছেন তখন দলের রান ১৩০। তার রান ৬১। ম্যাচ শেষে ব্যবধান গড়েছে এটাই।

রুশো নিজেও তার কৃতিত্ব থেকে ভাগ্যকে দিচ্ছেন বড় তালি, 'সম্ভবত কিছু জিনিস আমার অনুকূলে আছে এই মুহূর্তে। ইনিংসের শুরুতে ভাগ্য আমাকে সহায়তা করেছে। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে সাতবার আমি আউট হতে পারতাম। এটা অনেকটা এরকম আরকি যে ফর্মে থাকলে সব কিছু অনুকূলে চলে আসে।  আমি বেসিকের উপর আস্থা রেখেছি। রান করার জায়গায় খেলেছি, প্রান্ত বদল করেছি।’

জীবন পাওয়ার পর এবিডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে রুশো গড়েন ৬৭ রানের জুটি। তাদের জুটির সময় মনে হচ্ছিল অনায়াসে খেলা আছে রংপুরের পকেটে। দুজনে আউট হতে আবার জেগেছিল শঙ্কা। সেই শঙ্কা উবেছে ফরহাদ রেজার ব্যাটে।

স্বদেশী ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ব্যাট করা, তাকে কাছে পাওয়ায় বড় প্রেরণা রুশোর জন্যে,   'এবির মতো একজন দলে থাকা দুর্দান্ত ব্যাপার। সে বিশ্বমানের তারকা। সে নিজেই টি-টোয়েন্টিতে একটা পর্যায়। ড্রেসিং রুমে তাকে পাওয়া দারুণ কিছু। সে আবার দক্ষিণ আফ্রিকান। কাজেই কথা বলার মতো স্বদেশী একজনও আমার জন্য। তাকে পাওয়া চমৎকার ব্যাপার। আমরা শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম কিন্তু ক্রিকেটে এমনটা হয়েই থাকে। শেষ দিকে তারা দারুণ শেষ করেছে।’

 

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda urges unity, quick action to institutionalise democracy

She also demanded a comprehensive list of victims of abduction, murder, and extrajudicial killings

1h ago