ভালো কিছু করবেন, আগের দিনই টের পেয়েছিলেন ইভান্স

Laurie Evans
ম্যাচ জেতানো ইভান্সের সঙ্গে অধিনায়ক মিরাজ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কখনো খেলেননি। নামকরা কোন টি-টোয়েন্টি লিগেও নাম কুড়ানো হয়নি লরি ইভান্সের। অনেকটা ‘অখ্যাত’ ইভান্সকে এনে রাজশাহী কিংস তাই জন্ম দিয়েছিল কৌতূহলের। প্রথম পাঁচ ম্যাচে রান খরায় সেই কৌতূহলের কৌতুকে পরিণত হওয়ার দশা। অবশেষে কঠিন পরিস্থিতি এমন ইনিংস খেললেন, বাঘা বাঘা তারকাদের ছাপিয়ে তিনিই নায়ক। বনে গেছেন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। জানালেন বিস্ফোরক এই ইনিংসের আগের দিন অনুশীলনেই নাকি টের পাচ্ছিলেন, হতে যাচ্ছে ভালো কিছু।

এই ম্যাচের আগে রাজশাহীর খেলা ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটাতেই দলে ছিলেন ইভান্স। এরমধ্যে মাত্র এক ম্যাচে যেতে পেরেছিলেন দুই অঙ্কে। ১০, ১*, ০, ২, ০। সব মিলিয়ে মাত্র ১৩ রান। এমন খেলোয়াড়কে বয়ে বেড়ানোও যেন রাজশাহীর জন্যে বোঝা।

সোমবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হয়ত শেষ সুযোগ ছিল ইভান্সের। ওপেন করতে নেমে এই ম্যাচেই করলেন বাজিমাত। কিছু একটা করবেন এটা নাকি আগের দিন অনুশীলনেই টের পেয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান,  ‘আমি জানি না। এখানে আসার পর গতকাল অনুশীলনেই আমি ভালো কিছু টের পাচ্ছিলাম। আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ পরে কিছুটা বিরতি ছিল, তখন বিয়েও করি। কাজেই এখানে যখন আসি সেরা ছন্দটা নিয়ে আসতে পারিনি।’

বিরূপ কন্ডিশনে প্রথমবার খেলতে এসে মানাতে সময় লেগেছে। এই ম্যাচে তাই উইকেটের বাও বুঝে প্রথমে চেয়েছিল থিতু হতে। সেরকমভাবেই এগিয়েছে তার ইনিংস। প্রথম ৩৬ রান করেছিলেন ৩৭ বলে। পরে ঝড় তুলে ৬১ বলেই করে ফেলেন সেঞ্চুরি, ‘বাংলাদেশে দেখলাম উইকেটটা বেশ কঠিন। খুবই ভিন্ন, খুবই কঠিন আমাদের দেশের থেকে। আজ দারুণ একটা লড়াই ছিল। আমি কেবল বেসিকের উপর আস্থা রেখে নিজেকে ভাল অবস্থানে নিতে চেয়েছি আগে।’

‘আজ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য সুযোগ ছিল বড় কিছু করার। আমার মনে হয় আমার এই বদলের উত্তর হতে পারে কঠোর পরিশ্রম।’

২৮ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর ইভান্সের সঙ্গে জুটিতে যোগ দেন রায়ান টেন ডসকেট। দুজনে আর বিচ্ছিন্ন হননি। চতুর্থ উইকেটে তুলেন ১৪৮ রান। দল পায় ১৭৬ রানের শক্ত পূঁজি। যাতে ভর করে জেতে ৩৮ রানে।

এই ম্যাচের আগে সুতোর উপর ঝুলছিল ইভান্সের ভাগ্য। জানতেন আজ না পারলে আর মিলবে না সুযোগ। ফিরতে হবে ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে। সেই কঠিন লড়াই জেতার সময় পূর্ব পরিচিত টেন ডসকেটকে পাশে পাওয়াও তাকে দিয়েছে স্বস্তি। কোচ আর দল মালিকদের বিশ্বাসের দাম দিতে পেরেও এখন ফুরফুরে তিনি,  ‘হ্যাঁ, এটা খুবই স্পেশাল। কোচ এবং দলের মালিকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমাকে সুযোগ দিয়ে যাওয়ার জন্য কারণ আমার মনে হয়েছে আজ রান না করলে নিশ্চয়ই আমি জায়গা ডিজার্ভ করি না।’

‘কাজেই আমি কৃতজ্ঞ আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য। টেন ডসকেটের সঙ্গে ব্যাট করাও বেশ স্বস্তি দিয়েছে। একজন চেনা লোক পেয়েছিলাম। আমরা তাদের ধীরে ধীরে চাপ দিতে শুরু করি। যখন বড় রান হয়ে যায় মনে হচ্ছিল জেতার রান হয়ে গেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

What does Trump 2.0 mean for businesses in Bangladesh?

For local business communities, Donald Trump’s victory in the presidential race has been shorthand for the expectation that Western apparel orders and some foreign investments would shift to Bangladesh, with global fashion powerhouse China possibly facing higher import tariffs from the US.

11h ago