আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে মোস্তাফিজ

ফাইল ছবি

২০১৮ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে আইসিসি।

গত বছরে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন মোস্তাফিজ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। ২১.৭২ গড়ে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। ইকোনমি ছিল ৪.২।

মূলত এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এগিয়ে গিয়েছেন মোস্তাফিজ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৩ রানের ৪ উইকেট নেওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ২ উইকেট। তার সঙ্গে একাদশে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে আছেন ভারতের জসপ্রিৎ বুমরাহ।

তবে সেরা একাদশে ভারত ও ইংলিশ খেলোয়াড়রাই প্রাধান্য পেয়েছে। চার জন খেলোয়াড় রয়েছে এ দুই দলেরই। এছাড়া নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান থেকে এক জন খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছে। পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, উইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকেও সুযোগ পাননি কোন খেলোয়াড়।

দলের অধিনায়ক করা হয়েছে ভারতের বিরাট কোহলিকে। তার সঙ্গে রয়েছেন আরও তিন ভারতীয় -রোহিত শর্মা,  কুলদ্বীপ যাদব ও জসপ্রিত বুমরাহ। ইংল্যান্ড থেকে সুযোগ মিলেছে জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, জস বাটলার ও বেন স্টোকসের। জায়গা পেয়েছেন আফগানিস্তানের আলোচিত খেলোয়াড় রশিদ খান। মোস্তাফিজ ছাড়া একাদশের অপর খেলোয়াড়টি নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর।

মূলত গত বছরের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সেরা একাদশ নির্বাচন করা হয়। আইসিসি সদস্য দেশগুলো থেকে এক জন করে সাংবাদিক, ফটোসাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকারদের ভোটে নির্বাচন করা হয় এ একাদশ। কদিন আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।

তবে গত বছর দারুণ পারফরম্যান্স করেও জায়গা পাননি সাকিব আল হাসান। ২০১৮ সালে মোট ১৫টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব। ৩৮.২৩ গড়ে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৯৭ রান। বল হাতেও ছিলেন উজ্জ্বল। ৪.৪৮ ইকোনমিতে পেয়েছেন ২১টি উইকেট। গড় ২৬.৮১।

২০১৮ সালের সেরা ওয়ানডে একাদশ: রোহিত শর্মা, জনি বেয়ারস্টো, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), জো রুট, রস টেইলর, জস বাটলার, বেন স্টোকস, মোস্তাফিজুর রহমান, রশিদ খান, কুলদ্বীপ যাদব ও জসপ্রিত বুমরাহ।

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

12h ago