মাশরাফির ‘জোরালো দাবিতে’ দলে সাব্বির
একের পর এক শৃঙ্খলাভঙ্গের ইস্যু জড়ো হওয়ায় ছয় মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছয়মাস পূরণ না হতেই তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে দলে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, ডিসিপ্লিনারি কমিটি সাব্বিরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক মাস কমিয়ে দিয়েছিল আর সাব্বিরকে দলে পেতে ভীষণ মরিয়া ছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
গত অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় এক সমর্থককে ফেসবুকে গালাগাল দিয়েছিলেন সাব্বির। ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাই তাকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি। সে অনুযায়ী মার্চের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ ছিল না সাব্বিরের। তবে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে রাখা হয় এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে।
এখন সাজার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারকে কীভাবে দলে নেওয়া হলো জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচক জানান সাব্বিরের সাজা কমানো হয়েছে এক মাস, ‘এটা তো ডিসিপ্লিনারি কমিটির ব্যাপার। জানুয়ারির ৩১ তারিখের পর থেকে সে অ্যাভেলেভল। এটা আপনাদের বলা হয় নি, ওর শাস্তি এক মাস কমিয়ে আনা হয়েছে। সুতরাং ওভাবেই আমরা চিন্তা করে তাকে নিয়েছি।’
সাজার সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি সাব্বির। বিসিএল ও জাতীয় লিগে দু’একটা ইনিংস খেললেও ছিল না ধারাবাহিকতা। এবার বিপিএলের শুরু থেকেও সাব্বির ছিলেন রান খরায়। প্রথম ছয় ম্যাচে রান না পেলেও সপ্তম ম্যাচে গিয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে করেন ৫১ বলে ৮৫ রান।
ওই এক ইনিংসেই তিনি দলে ফিরতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নে মিনহাজুল জানান অধিনায়ক মাশরাফি তীব্রভাবে সাব্বিরকে চেয়েছিলেন বলেই তারাও সায় দেন তাতে, ‘আমি পরিষ্কার করে দেই। এটা সম্পূর্ণ আমাদের অধিনায়কের পছন্দের। ও খুব জোরালো ভাবে আমাদেরকে দাবি জানিয়েছে। এবং আমরা দুজনই এই পক্ষে একমত হয়েছি।’
নিউজিল্যান্ডের মাঠে খেলতে হবে গতিময় বল। শেষ দিকে এসব বল সামলাতে সাব্বিরকে উপযুক্ত মনে করেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট, ‘ওরা এমন একজনকে চাচ্ছে যারা লোয়ার মিডল অর্ডারে ফাস্ট বোলারকে সামলাতে পারবে। বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করে, নিউজিল্যান্ডের পরিকল্পনা করেই ওকে নেয়া হয়েছে। দেখা যাক, অধিনায়ক যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তার ব্যাপারে। আমিও আশাবাদি সে ফিরে আসবে।’
Comments