শফিউলকে রেখে তাসকিনকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় নান্নু

ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তাও আবার ওয়ানডে ও টেস্ট দুই সংস্করণেই। অথচ এর আগে প্রায় ১৫ মাস জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন এ পেসার। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করেই টাকা আবার জাতীয় দলে ফেরানো। দল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তাসকিন। এরপর মাঝে শুধু দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বিবর্ণ। তাই তাকে নিয়ে আর ভাবেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। মাঝে আবার ইনজুরিতেও পড়েছিলেন। তবে চলতি বিপিএলে তার পারফরম্যান্সই বদলে দিয়েছে সব। সাত ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। প্রয়োজনীয় সময়ে এনে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু।

তাসকিনকে দলে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে নান্নু বললেন, ‘তাসকিন অনেক দিন ধরে ইনজুরিতে ছিল। সে আমাদের পুনর্বাসনে বিসিবির প্রোগ্রামেই ছিল। ওকে আমরা যথেষ্ট নার্সিং করেছি। তারপর ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএলে ভালো করেছে। আমাদের একটা পরিকল্পনা আছ, প্রথমে চিন্তা করেছিলাম লম্বা দৈর্ঘ্যের জন্য। যেহেতু এখন খেলে যাচ্ছে। সামনে ওয়ানডে সিরিজ আছে। আমরা ওয়ানডে সিরিজের জন্যও রেখেছি।’

তাসকিনের সঙ্গে চলতি আসরে ভালো খেলেছেন শফিউল ইসলামও। সাত ম্যাচে ১৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যান্য আসরেও দারুণ খেলেছেন। তাই বিবেচনায় আসতে পারতেন এ পেসারও। তবে তাকে না নিয়ে তাসকিন নেওয়ার ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘চারটা পেসার আগের সিরিজগুলোতে খেলেছে। তাসকিনকে দলে নেওয়া তার গতি একটু বেশি আছে। নিউজিল্যান্ডে বাউন্সি উইকেটে তাসকিনের গতি কাজে লাগতে পারে এইজন্যই তাকে দলে নিয়েছি।’

সুযোগ পেলে খুব একটা হতাশ করেননি শফিউল। কিন্তু বরাবরই দুর্ভাগ্য ভর করে তাকে। ইনজুরির কারণেই বারবার বাদ পড়েন দল থেকে। তবে বিবেচনায় যে আছেন তা জানান নান্নু, ‘শফিউল কিন্তু আমাদের বিবেচনায় আছে, আমাদের নির্বাচক প্যানেল ওকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক চোটের কারণে অনেকগুলো সিরিজ ও খেলতে পারেনি। যেটা বললাম কিছু কিছু খেলোয়াড়কে কিন্তু নজরের বাইরে রাখিনি। আমাদের পেস বোলিংয়ের যে পুল আছে তাতে ও আছে।’

ক্যারিয়ারে ৫টি টেস্ট খেলেছেন তাসকিন। তাতে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি এই ডানহাতি পেসার। ১০ ইনিংসে বোলিং করে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ৭টি। গড় ৯৭.৪২। সে তুলনায় ওয়ানডে ক্যারিয়ার কিছুটা সমৃদ্ধ তার। ৩২ ম্যাচে পেয়েছেন ৪৫ উইকেট। অপরদিকে ১১ টেস্টে ১৯ ইনিংসে বল করে ১৭ উইকেট নিয়েছেন শফিউল। আর ৫৬ ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৬৩ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

24m ago