কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ শ্রমিক নিহত

কুমিল্লায় একটি কয়লাবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইটভাটার ভেতরে রাস্তার পাশে একটি মেসবাড়িতে গিয়ে পড়লে সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় ১৩ জন শ্রমিক নিহত হন।
Cumilla road accident
২৫ জানুয়ারি ২০১৯, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি কয়লাবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি মেসবাড়িতে গিয়ে পড়লে সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় ১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ছবি: স্টার

কুমিল্লায় একটি কয়লাবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইটভাটার ভেতরে রাস্তার পাশে একটি মেসবাড়িতে গিয়ে পড়লে সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় ১৩ জন শ্রমিক নিহত হন।

আমাদের কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, আজ (২৫ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লার দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহত ব্যক্তিরা সবাই ইটভাটার শ্রমিক এবং নীলফামারী জেলার অধিবাসী।

ট্রাকটি অতিরিক্ত মাল বহন করছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইটভাটার ভেতরে রাস্তা উঁচু-নিচু হওয়ায় এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

নিহতরা হলেন, নীলফামারী জেলার জলডাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), মানিক চন্দ্র রায়ের ছেলে তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (২৮), রামপ্রসাদের ছেলে বিপ্লব (১৯), কিশোর চন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর চন্দ্র রায় (২২), কমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দিপু চন্দ্র রায় (১৯), কামাক্ষা রায়ের ছেলে অমিত চন্দ্র রায় (২০), উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের মনোরঞ্জন রায় (১৯), দিনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে মৃণালচন্দ্র রায় (২১), রাজবাড়ী গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮), ধলু রায়ের ছেলে কনকচন্দ্র রায় (৩৪), একই উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের নূর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মোরছালিন (১৮) এবং ফজলুল করিমের ছেলে মোহাম্মদ মাসুম (১৮)।

এদিকে, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবারের প্রত্যেককেই ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago