জোড়া সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ডে রংপুরের ইতিহাস
২০০৩ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলার প্রচলন শুরু করে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এরপর এ সংস্করণের বয়স হয়ে গেছে প্রায় ১৬ বছর। লম্বা এ সময়ে মাত্র দুইবার এক ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। তৃতীয় রেকর্ডটি গড়লেন রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশো। আর তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে রান সংগ্রহে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন রেকর্ডই গড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কাটায় কাটায় সেঞ্চুরি করলেন হেলস। ৪৮ বলে ১০০ রান। কাটায় কাটায় সেঞ্চুরি করলেন রুশোও। ৫১ বলে অপরাজিত ১০০ রান। ক্রিকেট বিশ্বে এমন নজির আর ঘটেছে কি না সন্দেহ। কিন্তু তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৩৯ রানের পাহাড় গড়েছে রংপুর। যা বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর। ২০১৩ সালে এই রংপুরের বিপক্ষেই ২১৭ রানের স্কোর গড়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। এতো দিন এটাই ছিল সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। আজ হেলস-রুশোর ব্যাটিংয়ে নিজেদের লজ্জা ঢাকল দলটি।
জোড়া সেঞ্চুরির প্রথম ঘটনাটি ঘটে উক্সব্রিজে। টি-টোয়েন্টি কাপে ২০১১ সালে মিডলসেক্সের বিপক্ষে গ্লস্টারশায়ারের পক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের হামিশ মার্শাল ও আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন। এরপর দ্বিতীয় ঘটনাটি ২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে। আইপিএলের আসরে সেবার গুজরাট লাওন্সের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ভারতের বিরাট কোহলি। আর তৃতীয় ঘটনার সাক্ষী হলো চট্টগ্রাম।
অথচ ইনিংসের প্রথম ২ ওভারে রান এসেছিল মাত্র ৪ রান। তৃতীয় ওভার থেকে হাত খুলে ব্যাট শুরু করেন হেলস। রুশো তখন কেবল তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। হেলস যখন ৬১ রানে অপরাজিত রুশো তখন ব্যাট করছেন ৫ রানে। এরপর ধীরে ধীরে নিজেও খোলস থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেন। ততক্ষণে হেলস পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকের মাইলফলকে।
৪৮ বলে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় দানবীয় এক ইনিংস খেলেন হেলস। এ ইংলিশ ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর তোপ দাগাতে থাকেন রুশো। তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ৫১ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ব্যাটসম্যান। তাতেই পুড়ে ছারখার চিটাগং।
তাদের জুটিতেই এসেছে রেকর্ড সংগ্রহ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৪ রান যোগ করেন রুশো ও হেলস। যা বিপিএলে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি। রেকর্ডটা অবশ্য এ রংপুরেরই। গত মৌসুমে ঢাকার বিপক্ষে ফাইনালে দ্বিতীয় উইকেটে ব্রান্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে ক্রিস গেইলের অবিচ্ছিন্ন ২০১ রানের জুটিটি সর্বোচ্চ।
Comments