শাহজাদকে লুকানোর জায়গা নেই মুশফিকের

আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেস খেলোয়াড়দের জন্য অন্যতম অপরিহার্য একটি অংশ। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু খেলোয়াড় ফিটনেস নামক এ নিয়ামককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খেলে চলেছেন বছরের পর বছর। তাদের মধ্যে চিটাগং ভাইকিংসের আফগানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ শাহজাদ অন্যতম। দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান তিনি। কিন্তু যদি এই মোটাসোটা খেলোয়াড়কে ফিল্ডিং করতে নামানো হয় তাহলে বেশ দুশ্চিন্তাতেই পড়তে হয় অধিনায়ককে।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেস খেলোয়াড়দের জন্য অন্যতম অপরিহার্য একটি অংশ। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু খেলোয়াড় ফিটনেস নামক এ নিয়ামককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খেলে চলেছেন বছরের পর বছর। তাদের মধ্যে চিটাগং ভাইকিংসের আফগানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ শাহজাদ অন্যতম। দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান তিনি। কিন্তু যদি এই মোটাসোটা খেলোয়াড়কে ফিল্ডিং করতে নামানো হয় তাহলে বেশ দুশ্চিন্তাতেই পড়তে হয় অধিনায়ককে।

ঠিক এমনই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। কারণ নিজে একজন উইকেটরক্ষক। আর কিপিং করা তার প্রথম পছন্দ। কিপিং ছাড়তে বলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গের সম্পর্কে বেশ টানাপোড়নও চলেছিল তার। অথচ সে মুশফিকই কি না এখন ফিল্ডিং করছেন কিপিং ছেড়ে। শাহজাদের ফিটনেসের কারণেই বাধ্য হয়েই ফিল্ডিং করতে হচ্ছে তাকে।

মূলত বড়সড় এক ভুঁড়ি নিয়ে মাঠে দৌড়ানো খুব কঠিন হয়ে যায় শাহজাদের জন্য। তাই দলের স্বার্থেই এমনটা ভেবেছেন মুশফিক। তবে সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদের ভুঁড়ি নিয়ে মজা করতেও ছাড়েননি অধিনায়ক, ‘আমাদের দলের যে ভদ্রলোক এখন কিপিং করছেন তার স্বাস্থ্য দেখলেই আপনি বুঝবেন। তাকে আসলে ফিল্ডিংয়ে কোথায় লুকাতে হবে এটা আমার জন্য অনেক কঠিন।’

মজা করলেও নিজে কিপিং না করার ব্যাখ্যাটাও দেন অধিনায়ক, ‘আমাদের দলে আরও চার পাঁচ জন খেলোয়াড় আছে যাদের টি-টোয়েন্টির সেরা ফিল্ডার বলা যাবে না। এ রকম চার জন হয়ে গেলে কঠিন হয়ে যায়। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট চার পাঁচ জন আলোচনা করে এটা করেছি যে দলের স্বার্থে সেরা কম্বিনেশনটা বের করে আনতে। আর এখন পর্যন্ত সে খারাপ করছে না, আমাদের দলও আল্লাহর রহমতে ছয়টায় জিতেছে। তো সবমিলিয়ে ভালোই চলছে।’

কিপিং ছেড়ে চলতি আসরে অবশ্য বেশ দারুণ ব্যাটিং করছেন মুশফিক। ৩টি ফিফটিসহ করেছেন  দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৯ রান। তাতে প্রশ্ন উঠেছে কিপিং ছাড়াতেই কি এমন খেলছেন তিনি। তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুশফিক, ‘কেন? আমি কিপিং করে তো অনেক রান করেছি। তৃতীয় কি চতুর্থ সিজন বলতে পারছি না, প্রায় সাড়ে চারশ রানের মতো করেছিলাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলাম। (কিপিং ছেড়েছি) আমাদের দলের কম্বিনেশনের কারণে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago