আমার মা ও আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে: রেজা কিবরিয়া

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৭ জানুয়ারি)। বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনসহ নানাভাবে এ দিনটিকে পালন করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, দীর্ঘ ১৪ বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন না হওয়ার বিষয়টিই বারবার ঘুরে ফিরে চলে আসছে।
reza kibria
রেজা কিবরিয়া

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৭ জানুয়ারি)। বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনসহ নানাভাবে এ দিনটিকে পালন করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, দীর্ঘ ১৪ বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন না হওয়ার বিষয়টিই বারবার ঘুরে ফিরে চলে আসছে।

এর আগে, সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীর বনানীতে শাহ এ এম এস কিবরিয়ার কবর জিয়ারত করেন তার ছেলে রেজা কিবরিয়া। সে সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য একের পর এক মিথ্যা চার্জশিট দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো মেনে নেওয়ার জন্য আমার মা ও আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে, আমরা তা মেনে নেইনি।”

এরপর, আজ বিকেলে দ্য ডেইল স্টার অনলাইনের পক্ষ থেকে রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শাহ এ এম এস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের মামলা ও বিচারের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রেজা কিবরিয়া বলেন, “এখন যে মামলা চলছে এর ওপর আমার পরিবারের কোনো আস্থা নেই। কারণ- এখানে সীমিত তদন্তের ওপর মিথ্যা চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

এই মামলার তদন্তকারী পুলিশের ওপরও আস্থা রাখতে পারছেন না জানিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, “আস্থা নেই কারণ- তাদেরকে (পুলিশ) বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আসল মদদদাতাদের এবং হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য জানতে চাই। এখন যেভাবে এই মামলার তদন্ত চলছে, সেটি আসল খুনিদের আড়াল করে তাদের রক্ষা করার জন্য। এভাবেই যদি এটি নিষ্পত্তি হয়ে যায়, তাহলে আসল খুনিরা খুশি হবে। কারণ- তারা ভাবছে যে তারা দায়মুক্ত হয়ে গেলো। আসলে ভুয়া মামলা, ভুয়া তদন্ত, ভুয়া চার্জশিটের মাধ্যমে সঠিক বিচার প্রত্যাশা করা সম্ভব নয়।”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া।

হামলায় আরও প্রাণ হারান কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন এবং সিদ্দিক আলী। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago