বড় রান নয়, মিঠুনের লক্ষ্য ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে রংপুর রাইডার্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল মোহাম্মদ মিঠুনের। টপ অর্ডারে নেমে ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন। কিন্তু চলতি আসরে বিদেশি তারকাদের ভীরে টপ অর্ডারে জায়গা পাচ্ছেন না। তাই দলে তার ভূমিকাও বদলেছে। এবার বড় রান করার চেয়ে দ্রুত রান করার লক্ষ্যে ছুটেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

চলতি আসরে রংপুরের টপ অর্ডারে খেলছেন চার বিদেশি তারকা। উইন্ডিজের ক্রিস গেইল, ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রাইলি রুশো। ফলে নুন্যতম পাঁচ নম্বরের আগে ব্যাট করতে নামা হচ্ছে না তার। আর যখন নামছেন চার- পাঁচ ওভারের বেশি খেলার সুযোগও মিলছে না। তাই এ সময়ে বড় স্কোর করার চেয়ে দ্রুত রান তোলাকেই গুরুত্ব দিতে হচ্ছে মিঠুনকে।

ফলে কিছুটা হলেও চাপে পড়ছেন মিঠুন। যদিও মিঠুনের দাবী ভিন্ন, ‘চাপের ব্যাপার না। কত ওভার আমি সুযোগ পাচ্ছি সেটা হল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খুব বেশি বল না পেলে আপনি খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না। দিনশেষে সবাই দেখে কে ৫০ করেছে কে ৭০ করেছে। আমি যেখানে নামছি হয়ত চার বা পাঁচ ওভার থাকছে। সেই জায়গায় স্ট্রাইক রেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি ওখান থেকে ৫০ করতে পারব না। কিন্তু যদি ২০০ স্ট্রাইক রেটে রান করতে পারি সেটাই আমার দলের কাজে দেবে।’

গত আসরে ১৩ ইনিংস ব্যাট করে ২৯.৯০ গড়ে ৩২৯ রান করেছিলেন মিঠুন। তবে তা করেছেন টপ অর্ডারে ব্যাট করে। এবার চলতি আসরে ৮ ইনিংস ব্যাট করে ২২.১২ গড়ে করেছেন ১৭৭ রান। মূলত ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনেই কিছুটা ছন্দ হারিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। কারণটাও জানালেন তিনি, ‘আসলে এটা হচ্ছে দলের চাহিদা। গতবার দলের প্রয়োজনে উপরে খেলেছিলাম। দলের প্রয়োজনেই এবার নিচে খেলতে হচ্ছে।’

আগামীকাল সোমবার মিঠুনরা মুখোমুখি হচ্ছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। যে দলটির বিপক্ষে আগেরবার জিততে জিততে হেরে গেছে। লড়াইটা তাই প্রতিশোধের। তবে এসব ভাবছেন মিঠুন। অন্যান্য একটা ম্যাচের মতো করেই ভাবছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, ‘এটা ঠিক একটা ম্যাচ। ঢাকার সঙ্গে রংপুরের সবসময় একটা লড়াই হয়, ভাল ম্যাচ হয়।’

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago