ইউএস বাংলার কাঠমান্ডু ট্রাজেডি: পাইলটের ভুল বনাম টাওয়ারের ভুল
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আগ মুহূর্তে পাইলট আবিদ সুলতান মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে মনে করছেন নেপালি তদন্তকারীরা। ‘পরিস্থিতি সম্পর্কে উড়োজাহাজের ক্রুদের অসর্কতাকেও’ সমানভাবে দায়ী করেছেন তারা। তবে বাংলাদেশের তদন্তকারীরা বলছেন, এয়ার ট্রাফিক কনট্রোল টাওয়ার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দুর্ঘটনাটি এড়ানো যেতে পারত।
দুর্ঘটনা নিয়ে নেপাল সরকার যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল আজ তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশি তদন্তকারীরা বলছেন, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কনট্রোল (এটিসি) তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি।
নেপালি তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে ঢাকায় এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপের প্রধান সালাউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেন, এটিসি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি। নেপালের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে এই ব্যাপারটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নেপালের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। তিনি নিজেও দুর্ঘটনার তদন্ত দলের একজন সদস্য। তিনি বলেন, এটিসি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করতে পারার ব্যাপারটি তদন্ত প্রতিবেদনের পরিশিষ্ট অংশে যুক্ত করার জন্য তিনি নেপাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবেন।
৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে গতবছর ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১। ঢাকা থেকে যাওয়া এই উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি।
নেপালি কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইলটের মানসিক অবস্থা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে অসতর্কতা এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ।
আর সালাউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ’র ভাষ্য, পাইলটের দিক থেকে ভুল ছিল। কিন্তু এটিসি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এই ভুল শুধরে নিতে পারতেন পাইলট।
Comments