[পুরো প্রতিবেদনসহ] ‘দুর্নীতি বেড়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ’
![TIB TIB](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/tib-1_2.jpg?itok=itksnDOM×tamp=1548745383)
গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) তথ্য। জার্মানির বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ‘দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১৮’ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
আজ (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে সংস্থাটির বাংলাদেশ শাখা টিআইবি’র কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ তথ্য তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে চার ধাপ উপরে উঠে এসেছে। অর্থাৎ, এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। যা গত বছরের প্রতিবেদনে ছিলো ১৭তম।
তালিকায় দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৩তম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দুটি দেশ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং উগান্ডা।
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে টিআই তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তানের নাম। আর সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান।
সংস্থাটির হিসাবে এই এলাকায় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং পাকিস্তানের অবস্থান পঞ্চম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবস্থান ক্রমান্বয়ে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং ভুটান।
অর্থাৎ, টিআই এর তথ্য অনুযায়ী নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং ভুটানের চেয়ে বাংলাদেশ বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।
১৮০টি দেশের ওপর পরিচালিত টিআই জরিপে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯ নম্বরে। এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ছিলো ১৪৩ নম্বর অবস্থানে।
টিআই-এর হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হয়েছে সোমালিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিরিয়া এবং সুদান। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইয়েমেন এবং উত্তর কোরিয়া।
সংস্থাটির হিসাবে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বিবেচিত হয়েছে ডেনমার্ক। কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড।
Comments