সোনালি ব্যাগ দ্রুত বাজারজাতকরণে যাবে সরকার
শিগগিরই সরকার পাট থেকে তৈরি সোনালি ব্যাগ বাজারজাতকরণ করবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক।
গতকাল (২৯ জানুয়ারি) ডেমরার লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস পরিদর্শনকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মো. নাসিম, সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসি বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সোনালি ব্যাগ খুব দ্রুত বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে ব্র্যান্ডিং করবে। সেজন্য সরকার যতো দ্রুত সম্ভব পাট থেকে তৈরি পলিথিন ব্যাগ বাজারজাতকরণে যাবে। সরকারিভাবেই সেটা করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে বেসরকারিভাবে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করার চিন্তা সরকারের রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিজেএমসির উদ্যোগে একটি ম্যানুয়েল পাইলট প্ল্যান্ট দিয়ে সোনালি ব্যাগ তৈরির কাজ করছে। তবে বৃহৎ পরিসরে নতুন উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগ তৈরিতে দেশে বা বিদেশে কোনো মেশিন তৈরি হয়নি। তাই এ ধরনের মেশিন তৈরির জন্য বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে মেশিন তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার পলিব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি সফলভাবে পরিচালিত হওয়ায় আরও একটি মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত বাণিজ্যিকভাবে দৈনিক এক লাখ পলিব্যাগের উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাংলাদেশে এই প্রথম পাট থেকে সোনালি ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। সরকার চায় সারাবিশ্বে পাটের ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে। বাংলাদেশকে সবাই এই পাটের মাধ্যমে আরও বেশি বেশি সম্মান দেবে। সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে অনুকরণ করবে। সোনালি ব্যাগ পরিবেশবান্ধব। এটি খুব সহজে পচে যায়। কিন্তু পলিথিনের ব্যাগ যেমন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তেমনিভাবে সহজে পচেও না।
সোনালী ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবাবক হোসেন বলেন, এই ব্যাগ পলিথিন ব্যাগের চেয়ে দেড়গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি পরিবেশবান্ধব। এই ব্যাগ পচনশীল। এটিতে কোনো ধরনের প্লাস্টিক নেই। তাই পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। এটি পুনরায় ব্যবহার করা যায়, তবে পলিথিনে তা সম্ভব হয় না।
Comments