ঢাকাকে শঙ্কায় ফেলে শেষ চারে মুশফিকের দল

ক্যামেরন ডেলপোর্ট, মুশফিকুর রহিমের দারুণ ব্যাটিংয়ে শক্ত পূঁজি পেয়েছিল চিটাগং ভাইকিংস। সেই পূঁজি টপকাতে লড়ছিলেন আন্দ্রে রাসেল, সাকিব আল হাসানরা। ভাইকিংস বোলাররা তাদের দমিয়ে তুলে নিয়েছেন রোমাঞ্চকর জয়। এই জয়ে টুর্নামেন্টের শেষ চারও নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্যামেরন ডেলপোর্ট, মুশফিকুর রহিমের দারুণ ব্যাটিংয়ে শক্ত পূঁজি পেয়েছিল চিটাগং ভাইকিংস। সেই পূঁজি টপকাতে লড়ছিলেন আন্দ্রে রাসেল, সাকিব আল হাসানরা। ভাইকিংস বোলাররা তাদের দমিয়ে তুলে নিয়েছেন রোমাঞ্চকর জয়। এই জয়ে টুর্নামেন্টের শেষ চারও নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।

বুধবার চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিনে শুরুতে জেতার পর টানা হারতে থাকা দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। আগে ব্যাট করে ১৭৪ রান জড়ো করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ভাইকিংস। ওই রান তাড়া করতে যেয়ে পুরো ২০ ওভার খেলে  ১৬৩ রানে থেমেছে ঢাকা। হেরেছে ১১ রানে। 

এই নিয়ে ১১ ম্যাচ থেকে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেছে ভাইকিংসের। এর আগে সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও। তবে ১০ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে শঙ্কায় আছে সাকিবের ঢাকা।

শেষ দুই ওভারে জিততে ঢাকার দরকার ছিল ২৬ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে ফিফটি করে সাকিব দেখাচ্ছিলেন আশা। কিন্তু দাসুন শানাকার পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেষ হয়ে যায় ঢাকার সব আশাও। ঢাকার টেল এন্ডার পরে আর পারেনি অভাবনীয় কিছু করে দেখাতে।

ভাইকিংসকে জেতাতে দারুণ বল করে আবু জায়েদ রাহি ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট। শেষ দিকে অসামান্য বল করেছেন দাসুন শানাকাও। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত করা ডেলপোর্টও বল হাতে রেখেছেন অবদান, অফ স্পিনার নাঈম হাসানের কাছ থেকেও মুন্সিয়ানা পেয়েছেন মুশফিকের দল।

টানা হারের মধ্যে থাকা ঢাকা এই ম্যাচে নেমেছিল শঙ্কা মাথায় নিয়ে। চিটাগং ১৭৫ রানের শক্ত চ্যালেঞ্জ দিয়ে দেওয়ায় তুমুল লড়াইয়ের আভাস ছিল মাঝ বিরতিতেই।

সে লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভুলে যাওয়ার মতো হয় ঢাকার। ২৩ রানের মধ্যেই ধস নামে টপ অর্ডারে। ফিরে যান সুনিল নারাইন, রনি তালুকদার, মিজানুর রহমানরা।

সাকিবের সঙ্গে মাঝারি এক জুটির পর ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসেই সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি কেড়ে নেয় কাইরন পোলার্ডকে।

এরপর সাকিবের সঙ্গে যোগ দিয়ে পরিস্থিতি বদলান রাসেল। ডেলপোর্টের বলে আউট হয়ে গিয়েছিলেন ২২ রানে। কিন্তু ‘নো’ বলের কারণে বেঁচে যান তিনি। এরপর চালিয়েছেন কিছুক্ষণ, ম্যাচ এনেছেন দলের আরও নাগালে। কিন্তু ম্যাচ শেষ করে যেতে পারেননি। ২৩ বলে ৩৯ করে শানাকার বলে বাউন্ডারি লাইনে সেই ডেলপোর্টের হাতেই ধরা পড়েন রাসেল।

তখন ঢাকার জিততে দরকার ৩৫ রান। ভরসা ছিলেন সাকিব। সাকিবও তীরে তরি ভেড়াতে না পারায় শঙ্কা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিটরা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু পেয়েছিল চিটাগং। মোহাম্মদ শাহজাদ আবারও ক্ষ্যাপাটে ব্যাট চালিয়ে বাড়াচ্ছিলেন রান। তবে পাওয়ার প্লে পুরো কাজে লাগাতে পারেননি, সুনীল নারাইনের বলে অতিরিক্ত পেটাতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন।

দ্বিতীয় উইকেটে ইয়াসির আলির সঙ্গে আরেক জুটি গড়েন ডেলপোর্ট। ইয়াসির ফেরার পর মুশফিকের সঙ্গে জমে উঠে ডেলপোর্টের জুটি। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটে উড়ন্ত অবস্থায় চলে যায় চিটাগং। ৭৯ রানের জুটির পর একদম শেষ ওভারে গিয়ে বিপর্যন্ত। আন্দ্রে রাসেলের টানা তিন বলে ফেরেন মুশফিক, ডেলপোর্ট, আর লঙ্কান দাসুন শানাকা।

রাসেল হ্যাটট্রিক করে বসলেও ভাইকিংসের রানটা ১৭০ ছাড়িয়েছে ঠিকই। সেই রান ডিফেন্ড করার মতো তাগদও পরে দেখিয়েছে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চিটাগং ভাইকিংস :  ২০ ওভারে ১৭৪/৫ (শাহজাদ ২১, ডেলপোর্ট ৭১, ইয়াসির ১৯, মুশফিক ৪৩, শানাকা ০, রাজা ৬*, মোসাদ্দেক ১* ; ব্রিচ ০/৩৫, রাসেল ৩/৩৮, সাকিব ০/২৪, নারাইন ২/২০, রুবেল ০/৪২, মাহমুদুল ০/৮)

ঢাকা ডায়নামাইটস:    ২০ ওভারে ১৬৩/৯     (মিজানুর ১১, নারাইন ০, রনি ৬, সাকিব  ৫৩, নুরুল ৩৩, পোলার্ড ১, রাসেল ৩৯, শুভাগত ৫, ব্রিচ ৬*, মাহমুদুল ২* ; জায়েদ ৩/২৫, খালেদ ০/৩৫, নাঈম ১/৩৭, ডেলপোর্ট  ১/৩১) 

ফল: চিটাগং ভাইকিংস ১১ রানে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago